সৈকত মাইতি, পাঁশকুড়া: আপনি কী অফিসের কাজে ভীষণ ব্যস্ত? বেড়াতে যাওয়ার জন্য বেশিদিনের ছুটি পাচ্ছেন না? অথচ মন বলছে পালাই পালাই, তাই তো? আরে চিন্তা কী? বেশিদিন ছুটি না হয় নেই, উইকএন্ড তো আছে৷ না হয় ওইদিনেই প্রাণভরা নিশ্বাস নিতে শহর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ুন৷ কলকাতার খুব কাছেই আপনার জন্য রইল সেই নিরিবিলি ঠিকানার খোঁজ৷
ইট-কাঠ-কংক্রিটের জঙ্গলে আপনি ক্লান্ত৷ একঘেয়ে লাগছে তাই তো? জানেন কি অক্সিজেন ভেবে আপনি যা গ্রহণ করছেন, তা হয়তো আপনার শরীরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে৷ অবাক হলেও, এটাই বাস্তব৷ কিন্তু তা বলে তো আর অফিস না গিয়ে বেড়াতে যাওয়া সম্ভব নয়৷ বরং সপ্তাহান্তের ছুটিটা কাজে লাগান৷ শীতের সকালে তল্পিতল্পা গুছিয়ে বেড়িয়ে যান গৌরাঙ্গঘাটের উদ্দেশে৷ পরেরদিন অফিস আছে বলে ভাবনাচিন্তার কোনও কারণ নেই৷ কারণ সন্ধে পেরিয়ে রাত হওয়ার আগেই অনায়াসে ওই জায়গা থেকে আপনি বাড়িও ফিরে আসতেই পারেন৷
রূপনারায়ণের তীরেই অবস্থিত গৌরাঙ্গঘাট৷ স্থানীয়দের মুখে মুখে একটুকরো বারাণসী বলেই পরিচিত এই এলাকা৷ যতদূর চোখ যায় আপনি শুধু দেখতে পাবেন নদী৷ সঙ্গে ফাঁকা মাঠ৷ এখানেই শেষ নয় শীতের সময় মাঠের একপাশে ফুলের সম্ভার৷ একদিকে নদী আর আরেকদিকে ফুলের বাহার, ছুটির দিনে এই সৌন্দর্য আপনাকে পাগল করে দিতে বাধ্য৷ আপনি চাইলে রূপনারায়ণের পাড়ে পিকনিক করতে পারেন৷ আবার ইচ্ছা করলে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন খাবারদাবার৷ শহরের কলরব ছেড়ে কিছুটা দূরে এক্কেবারে নিরিবিলিতে ছুটি কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা বোধহয় আর কিছু হতেই পারে না৷ শীতের দুপুরে মিঠে রোদের সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এর চেয়ে ভাল আর কি-ই বা হতে পারে?
কীভাবে যাবেন:
সড়কপথে কিংবা রেলপথে গৌরাঙ্গঘাটে আপনি যেতেই পারেন৷ হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে আপনাকে কোলাঘাটে পৌঁছাতে হবে৷ স্টেশন থেকে এক্কেবারে পায়ে হেঁটেই আপনি পৌঁছে যেতে পারেন গৌরাঙ্গঘাটে৷ এছাড়া সড়কপথেও আপনি গৌরাঙ্গঘাট যেতে পারেন৷ শরৎ সেতুতে নেমে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন আপনার গন্তব্যে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.