সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরবর্তী সময়ে হয়তো মানবজীবন অনেকখানিই বদলে যাবে। তাই বলে পুরনো লাইফস্টাইলের কিছুই কি অবশিষ্ট থাকবে না? এমনটা একেবারেই নয়। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অন্তত আশার আলো জাগাচ্ছে। কারণ শীঘ্রই গোয়ায় ঘুরতে যেতে পারবেন পর্যটকরা। আগের মতোই উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য। সেই ব্যবস্থাই করছে সরকার।
করোনা আতঙ্কে এখনও ত্রস্ত প্রায় গোটা বিশ্ব। ভারতেও দাপট দেখিয়ে চলেছে এই মারণ ভাইরাস। তবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সফল গোয়া। সেখানে সাতজন আক্রান্তের সকলেই সুস্থ। কারও মৃত্যুও হয়নি। আর এবার তাই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন করে পর্যটন শিল্পে জোর দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি জানান, করোনা পরবর্তী পর্যটনের ক্ষেত্রে রাজ্য নিজস্ব গাইডলাইন এবং SOP (standard operating procedures) তৈরি করবে। তবে গোয়া নিরাপদ থাকলেও প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের পরিস্থিতি বেশ শোচনীয়। যে কারণে গোয়ায় পর্যটন শুরু হলেও একাধিক বাধানিষেধ জারি থাকবে। নতুন করে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কী কী পদক্ষেপ করা জরুরি, তার ছক কষা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর।
প্রায় সারা বছরই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় জমান এখানে। তাই পর্যটন শিল্প বন্ধ থাকলে ৭০ হাজার মানুষ চাকরি খোয়াতে পারেন। তাই দ্রুত ছন্দে ফিরতে চাইছে এই রাজ্য। তবে করোনার প্রকোপ কমলে এবং জীবন স্বাভাবিক হলেও এই সৈকত শহরে আগের মতো পর্যটকদের ভিড় জমবে না। এমনটা ধরেই নিয়েছে প্রশাসন। তাই সংখ্যার পিছনে না ছুটে পর্যটনের মানকে আরও উন্নত করতে চাইছে তারা। ভ্রমণ পিপাসুরা যাতে এই শহরে এসে বেশি করে সময় কাটান, বিভিন্ন বিষয়ে অংশ নিতে পারেন, সেসব দিকেই এবার বেশি জোর দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর আশা, লকডাউনের তৃতীয় দফা শেষ হলে আরও খানিকটা স্বাভাবিক হবে জনজীবন। তখনই ধীরে ধীরে পর্যটনের দিকে ঝুঁকবে রাজ্য। সাওয়ান্তের কথায়, “লকডাউন ৩.০-র পর আন্তঃরাজ্য বাস, ট্রেন এবং বিমান পরিষেবা চালু হওয়া উচিত। তবে সেক্ষেত্রেও অনেক নিয়মকানুন মানতে হবে। বিশেষ করে গোয়ার ক্ষেত্রে। কারণ এ রাজ্য পুরোটাই গ্রিন জোন। কোনও কোভিড কেস নেই। কিন্তু পাশেই মহারাষ্ট্র আর কর্ণাটকের মতো দুটি রাজ্য রয়েছে। যেখানে করোনার প্রকোপ মারাত্মক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.