অরূপ বসাক, মালবাজার: সারাবছর কংক্রিটের দেওয়াল ঘেরা শহরে আটকে থেকে সকলেরই মন চায় একটু ছুটি। শহর থেকে অনেক দূরে খোলা বাতাসে উড়তে চায় মন। আর এই অবকাশে কি পাহাড় টানে আপনাকে? তবে তো আপনাকে নতুন ঠিকানার হদিশ দিতেই হচ্ছে। পাহাড়প্রেমী পর্যটকদের কাছে এবার নতুন ঠিকানা পাশাবং (Pashabong)। পাহাড়, জঙ্গল ও নদীর তীরে ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেন, তাঁদের গন্তব্য হতেই পারে পাশাবং।
কালিম্পং (Kalimpong) জেলার গরুবাথান ব্লকের গীতখোলা নদীর ধারে পাশাবং আপনার আদর্শ গন্তব্য। ছোট্ট এক পাহাড়ি গ্রাম। পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। মুষ্টিমেয় কিছু পরিবারের বাস। পাহাড় ঘেরা এই উপত্যকার নাম পাশাবং। যার মধ্যমণি এই গীতখোলা নদী (River)। উপলমুখর গীতখোলার গান শুনতে এবারে উদ্বোধন হয়ে গেল পাশাবং হিলরিভার ট্রেইল বা এইচআরটি কটেজ রিসর্টের (Resort)। এখানে প্রতিটি কটেজেই দ্বিতল সজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। দুটি পরিবার একত্রে একটি কটেজেই যেমন রাত্রিবাস করতে পারবেন, তেমনই ছ-সাত জনের বন্ধুদের গ্রুপ নিয়েও অনায়াসে একটি কটেজে থাকার সুবিধে পাবেন। কটেজে রয়েছে প্রশস্ত ডাইনিং হল, নদীর ধারে বসবার ব্যবস্থা।
প্রকৃতি ছুঁয়ে থাকার এমন উদ্যোগের কাণ্ডারি রাজেন প্রধান। যুবতীদের অনেকটা সমবায়ের মতন করে বিনিয়োগে উৎসাহ দেন। রাজেনবাবুর দিগদর্শনের মাধ্যমে আর বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মপ্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে স্থানীয়দের সাহায্যে উদ্বোধন হয়ে যায় এইচ আর টি। বুধবার এই হোম স্টে’র উদ্বোধন করেন জিটিএ-র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সঞ্চবীর সুব্বা। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন জিটিএ-র সদস্য, আধিকারিকরাও। আগামীতে পাশাবঙের এই মডেল অন্যান্য স্থানেও লক্ষ্য করা যাবে বলে রাজেনবাবু উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই দাবি করেন। তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থানের বিকল্প মাধ্যম।
এই হোম স্টে’র (Home Stay)পাহাড়ের ঢালে রয়েছে সামাবিয়ং চা বাগান। পাহাড়, জঙ্গলঘেরা এক সুন্দর পরিবেশ। ট্রাকিং করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে বহু দূরে দেখা যাবে শিলিগুড়ি, মালবাজার-সহ ডুয়ার্সকে। মালবাজার শহর থেকে লাভা হয়ে এই এলাকাতে পৌঁছতে দূরত্ব হবে ৪১ কিলোমিটার। ঝান্ডি হয়ে গেলে দূরত্ব পড়বে ৩৯ কিমি। শহর পেরিয়ে চা বাগান, বন, পাহাড় দেখতে দেখতে ঘন্টা দেড় সময় লাগবে গন্তব্যে পৌঁছতে। উদ্বোধনের প্রথম দিনেই পর্যটকের ভিড় দেখা গেল এখানে। এখান থেকে অন্যান্য টুরিষ্ট স্পষ্টগুলি খুব কাছে। যেমন লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, ঝান্ডি, নকডারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.