মধুছন্দা মিত্র ঘোষ: প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ও বিশালতা বারে বারেই বিবশ করে৷ গা এলিয়ে দেয় অনাবিল স্নিগ্ধতায়৷ স্নিগ্ধতার এই মুগ্ধতা নিয়েই আরব সাগরের কোঙ্কণ উপকূলের দক্ষিণ প্রান্তে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে দণ্ডায়মান গণপতিপুলে৷
ঐতিহ্য –
চারশো বছরের প্রাচীন স্বয়ম্ভু দেবতা গণপতি থেকেই এসেছে এই স্থানটির নাম৷ ‘পুলে’ মানে বেলাভূমি৷ পাহাড়ের পাদদেশে মন্দির৷ কথিত আছে স্থানীয় কোনও উপজাতি মহিলার অসঙ্গত আচরণে গণপতিবাপ্পা রাগান্বিত হয়ে নিজ বাসগৃহ থেকে সামান্য দূরে এই স্থানে এসে অধিষ্ঠিত হন৷ ভক্তদের ভিড়ে সদাই ব্যস্ত মন্দির প্রাঙ্গণ৷ বেশ খানিকটা জায়গাজুড়ে মন্দিরাঞ্চল৷ প্রধান ফটক ছাড়া সাগরপানেও একটা দ্বার আছে৷ যেখানে ভারতীয় সব হিন্দু মন্দিরই সাধারণত পূবমুখী, সেখানে এই মন্দিরের গণপতি মূর্তি পশ্চিমমুখী৷ গণপতিবাপ্পা সমুদ্রের দিকে মুখ করে অধিষ্ঠিত আছেন৷ প্রথামত ভক্তরা পুরো মন্দির ও প্রায় একশো মিটার উঁচু পাহাড়ি অধিত্যকা-পুরো প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করেন৷
এছাড়া কী দেখবেন –
কোথায় থাকবেন –
অক্টোবর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জলবায়ু খুব সুন্দর৷ মাঘ চতুর্থীতে গৌরী-গণপতি উৎসব এখানে দেখার মতো দুটি প্রধান উৎসব৷ গণপতিপুলের ‘অঙ্গার-কি-চতুর্ভেথী উৎসবটিও দেখবার মতো৷ সেই সময়টুকুই বলতে গেলে গণপতিপুলের পিক সিজন৷
অনেক হোটেল, রিসর্ট, লজ রয়েছে এখানে৷ অনেকগুলি বিচ রিসর্ট থেকেই সাগরসৈকত দেখা যায়৷ তবে মহারাষ্ট্র সরকারের এমটিডিসি রিসর্ট-এর কোঙ্কণি হাউসে অন্তত দুটো তিনটে দিন থাকাটা বেশ দারুণ ব্যাপার৷
কীভাবে যাবেন –
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.