ছবি: সুনীতা সিং।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: এ এক অন্য ‘সুন্দরবন’! তবে তা ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে ঘিরে নয়। রয়েছে বিস্তীর্ণ সোনাইজুড়ি জঙ্গলকে ঘিরে। আর দোলের আগে ‘মিনি সুন্দরবনে’র মতো করে সেজে উঠল পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুরের রঞ্জনডি জলাশয়ের যোগমায়া সরোবর।
কাশীপুর থেকে ব্লক কার্যালয় যাওয়ার আগেই ডানদিকের ঝাঁ চকচকে রাস্তা ধরে পাঁচ কিমি দূরে রয়েছে ওই জলাশয়। প্রায় বছর পাঁচেক ধরে রঞ্জনডি ড্যামকে ঘিরে সাজিয়ে-গুছিয়ে জঙ্গলমহলের পর্যটনে নয়া ঠিকানার রূপ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের অর্থ সেই সঙ্গে কাশীপুরের বিদায়ী বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার উন্নয়ন তহবিল থেকে এই জলাশয় সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়। যার নাম দেওয়া হয়েছে যোগমায়া সরোবর। সোনাইজুড়ি জঙ্গল ঘিরে থাকা এই সরোবর এখন চোখ টানছে পর্যটকদের। সেই পুজোর সময় থেকেই একটু একটু করে ভিড় হচ্ছিল এই নয়া পর্যটন কেন্দ্রে। কিন্তু এবার দোল-হোলিতে একেবারে হাউসফুল।
জলাশয়ের পাশে থাকা অতিথি আবাসে জায়গা না থাকলেওযোগমায়া সরোবর ঘুরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। নৌকো বিহারে যেন সুন্দরবনের স্বাদ পাচ্ছেন। আসলে জলাশয় ঘিরে রয়েছে বিস্তীর্ণ সোনাইজুড়ির জঙ্গল। জলাশয়ের পাশে জঙ্গলের চেহারা মনে করাচ্ছে ম্যানগ্রোভ অরণ্যকেই। সেই সঙ্গে জলাশয়ের মধ্যেই সুন্দরবনের মত একাধিক দ্বীপ। যেখানে খাটিয়া পেতে দিব্যি সময় কাটাতেপারছেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে এই চৈত্রেও ডানাঝাপটাচ্ছে পরিযায়ী। নৌকা বিহারের সময় হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন পানডুবি, পানকৌড়ি। এমনকী দেখা মিলতে পারে পিনটেল, বালি হাঁস বা নীল শিরেরও। নৌকাবিহারে গা ঘেঁষে ডানা ঝাপটিয়ে চলে যাবে পরিযায়ীর দল।বিদায়ী বিধায়কের কথায়, “আক্ষরিক অর্থেই রঞ্জনডির এই জলাশয় এখন দোল–হোলির নয়া গন্তব্য হয়ে গিয়েছে।তবে এই জলাশয়কে ঘিরে পূর্ণাঙ্গ পর্যটনের রূপ দিতে আমরা আরও নানা পরিকল্পনা নিয়েছি। ভোট পর্ব মিটলেই সেই কাজে হাত দেওয়া হবে।” কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির তত্বাবধানে এখন এই অতিথি আবাস চলছে। খুব শীঘ্রই অনলাইনে বুকিং-র ব্যবস্থ্যা চালু হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.