Advertisement
Advertisement

Breaking News

টুনবাড়ি চা বাগান

ডুয়ার্সের একটুকরো স্বর্গ, পর্যটকদের গন্তব্য হতে পারে টুনবাড়ি

ভাঙা পাহাড় আর চা বাগান ঘেরা ছোট্ট জায়গায় চাইলে ট্রেকিংও করতে পারেন।

Dooars new tourist place Toonbari tea garden might be your next weekend
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:November 28, 2019 6:27 pm
  • Updated:November 28, 2019 9:36 pm

অরূপ বসাক, মালবাজার: ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির নিজের হাতে গড়া অপরূপ সৌন্দর্য্যের জায়গা। পর্যটনের মরসুমে এইসব স্থানগুলিই হয়ে উঠতে পারে পর্যটকদের উইকেন্ড ডেস্টিনেশন। তবে এখনও ডুয়ার্সের কিছু কিছু জায়গা প্রচারের আড়ালেই রয়ে গিযেছে। নৈসর্গিক দৃশ্যে অধিকারী হলেও একমাত্র সেরকম ভ্রমণপিপাসু না হলে পর্যটকরা খুব একটা ভীড় জমান না সেসব জায়গায়। সেরকমই এক জায়গা টুনবাড়ি।

ডুয়ার্সের অন্যতম প্রধান জনপদ মালবাজার শহর। শহরের থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছে টুনবাড়ি চা বাগান। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা মাল নদী। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। এখানেই রয়েছে এক ভাঙা পাহাড়। নদী বক্ষ থেকে প্রায় ৩০০ ফুট উচুতে রয়েছে এক শিব মন্দির। নিচে তাকালেই মনে হবে যেন চারিদিকে সবুজ মাদুর বিছানো। 

Advertisement

কোনও এক সময়ে এই এলাকার খানিক অংশ ধসে পড়ে নদীর বুকে। তারপর থেকেই স্থানীয়ারা এই জায়গার নাম দিয়ে দেয় ভাঙা পাহাড়। গাছ-গাছালি ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝেই এখানে রয়েছে একটি শিব মন্দির। বহু মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। শিবরাত্রিতে এবং শ্রাবণ মাসে ভীড়ও ভাল হয়। বছর কয়েক আগে এখানে পিকনিক স্পট করা তৈরি করা হয়েছিল। তবে পরিবেশ দূষণের কারণে তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকে মালবাজার শহর থেকে পায়ে হেঁটেই এখানে চলে আসেন। চা বাগানের চড়াই-উতরাই পথে সুন্দর ট্রেকিং করার মতো জায়গাও রয়েছে। পাশে বয়ে যাওয়া মাল নদী রিভার ক্রসিং করার আদর্শ জায়গা।

Advertisement

মাল নদীর বুক থেকে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট উচুতে রোপ ক্লাইম্বিং করার পরিবেশও আছে। নদীর ওপারে রয়েছে জাহাজ বস্তি নামের এক সুন্দর গ্রাম। কিছুদিন আগে মালবাজারের এক পরিবেশপ্রেমী সংস্থা এখানে ট্রেকিং করার আয়োজন করেছে। এছাড়াও ছোট্ট গাঁয়ের পাহাড়ি শিবমন্দিরের ভাবগাম্ভীর পরিবেশ পর্যটকদের যে আকর্ষণ করবেই, তা হলফ করে বলা যায়। 

বর্তমানে পর্যটনের মরসুম হওয়া সত্বেও এই বছর পর্যটকদের আনাগোনা কম। অনেক লজ ও রিসর্ট প্রায় খালিই থাকছে। প্রত্যক সিজনের মতো এবার এখনও পর্যটকরা ভীড় জমানো শুরু করেনি এখানে। কেন কমছে পর্যটকদের আনাগোনা? চিন্তার ভাঁজ হোটেল-রিসর্ট ব্যবসায়ীদের কপালে। জোর চর্চাও শুরু হয়েছে এই নিয়ে। এই রকম সময়ে এহেন সুন্দর মনোরম পরিবেশকে যদি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা যায় তবে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে, বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাছাড়া বর্তমানে রাজ্য সরকার টি- টুরিজমের উপর গুরত্ব দিয়েছে। তাই সব দিক দিয়ে আদর্শ জায়গা এটি। 

[আরও পড়ুন: মমতার পরামর্শে নয়া পর্যটনকেন্দ্র কালিম্পংয়ে, ‘নকদাঁড়া’ নিয়ে আশাবাদী পাহাড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ