রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: দোলের পর্যটনে বাদ সাধল ভোট। দোলের আগের দিন বঙ্গের পাঁচ জেলায় ভোট রয়েছে। যার জেরে বেজায় বিপাকে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার হোটেল ব্যবসায়ীরা। একইরকম ভাবে হতাশ সাধারণ মানুষও। কারণ, দোলের সময় অনেকেই দু-একদিনের ছুটিতে একটু বেড়াতে যান। এবার আর সেটা হবে না।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে চিন্তায় সৈকত নগরীর হোটেল ব্যবসায়ীরা। ২৭ মার্চ অর্থাৎ প্রথম দফায় ভোট রয়েছে কাঁথি মহকুমায়। এর মধ্যেই পড়ছে দিঘার, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি। নিয়ম বলছে, নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে স্বাভাবিকভাবেই বহিরাগতরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। এদিকে ২৮ মার্চ রংয়ের উৎসব। ফলে ইতিমধ্যে হোটেল বুকিংও শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ায় পর্যটকেরা হোটেল বুকিং বাতিল করছেন। ২৭ মার্চ ভোট হওয়ায় ২৫, ২৬ মার্চ থেকেই এলাকায় নজরদারি বাড়াবে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, পুলিশের পক্ষ থেকেও হোটেলগুলো বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। ফলে উৎসবের মরশুমে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
এ প্রসঙ্গে দীঘা হোটেল সংগঠনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, “প্রতিবার দোলের সময় পর্যটকরা আসেন। এবার ২৮ মার্চ দোল উৎসব। এই সময় প্রচুর পর্যটক দিঘা বেড়াতে আসেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৫ ও ২৬ মার্চ হোটেল কাউকে রাখা যাবে না। হোটেল বন্ধ থাকলে ব্যাপক হতে যেমন হোটেল ব্যবসার যেমন ক্ষতি হবে, তেমনই অন্যান্য ব্যবসারও ব্যাপক ক্ষতি হবে।”
উল্লেখ্য, বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের অফিসে ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল কলকাতা ও জেলার সদস্যরা একটি ডেপুটেশন জমা দেন। তাদের দাবি, কোনওবার দক্ষিনবঙ্গে দোলের আগে বা পরের দিন ভোট থাকে না। এবারই প্রথম হল। যার ফলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা তো প্রচুর লোকসান করলেন। লকডাউনের পর একটু যেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা সেখানে দোলে তা বন্ধ হওয়ায় বিরাট লোকসানের মুখোমুখি হবেন তাঁরা। পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত মানুষদের দাবি, সামগ্রিক ভাবে ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা নষ্ট হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.