রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কথায় বলে, বাঙালির পায়ের তলায় সরষে৷ অল্প কয়েকদিনের ছুটি পেলেই তাদের মন উড়ু উড়ু৷ মনে হয় বেড়িয়ে পড়ি৷ গন্তব্য? হয় দিঘা নয়তো মন্দারমণি৷ হোক না অল্পদিনের ছুটি তাতে কী? একইরকম জায়গায় যেতে রোজ রোজ কি আর মন চায়? অনেকেই একটু অফবিট ঠিকানার খোঁজ চান৷ তাঁদেরই অপেক্ষায় রয়েছে বগুড়ানজলপাই পর্যটন কেন্দ্র৷
ইদানীং দিঘা-মন্দারমণিতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে শংকরপুর, তাজপুরও। তাই এখন ওই জায়গাগুলি ছেড়ে একটু নিরিবিলি এলাকা খুঁজছেন বহু পর্যটকই। সেই নিরিবিলি ঠিকানাই বগুড়ানজলপাই। বঙ্গোপসাগরের শান্ত ঢেউ। সৈকতের কিছু অংশ কংক্রিটে বাঁধানো। পাশে ঝাউগাছের সারি। তার গা ঘেঁষেই রিসর্ট। নিরিবিলি এলাকায় শুধু মাছ ধরার নৌকার আনাগোনা। সঙ্গে লাল কাঁকড়ার ভিড়৷ মনের মানুষ হোক কিংবা পরিজনদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য এর চেয়ে ভাল ঠিকানা আর কী-ই বা হতে পারে?
কাঁথি এক নম্বর ব্লকের এই নতুন ট্যুরিস্ট স্পট খুব বেশি দূরেও নয়। সবে গড়া ওঠা এই স্পট এখনও নাবালক। দিঘার তুলনায় এখানকার সমুদ্র কিছুটা শান্ত। রাত্রিবাসের জন্য একটি গেস্ট হাউস রয়েছে। একেবারে ঝকঝকে। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হলে ঝাউ জঙ্গলের মধ্যেই নিশিযাপনও করতে পারেন আপনি। রয়েছে টেন্টের বন্দোবস্ত।
ঝাউ জঙ্গল এবং জায়গাটা একটু ফাঁকা হলেও নিরাপত্তার তেমন চিন্তা নেই। কারণ পুলিশি টহল থাকে। এই ট্যুরিস্ট স্পটের একমাত্র রিসর্টে থাকতে গেলে অনলাইন বুকিং করা যায়। পৌঁছেও কথা বলতে পারেন। দিন পিছু খরচ ১০০০ টাকা। যদিও খাওয়া খরচ আলাদা৷
কীভাবে যাবেন?
দিঘার সঙ্গে কাঁথির শৌল্যার সংযোগ করতে ইতিমধ্যেই মেরিন ড্রাইভ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এই মেরিন ড্রাইভ যুক্ত হলে পর্যটকেরা দিঘা থেকে সোজা বগুড়ানজলপাইতে পৌঁছতে পারবেন। আপাতত বগুড়ানজলপাই যাওয়ার জন্য হাওড়া বা ধর্মতলা থেকে দিঘাগামী বাসে চড়ে আপনাকে কাঁথি পৌঁছতে হবে৷ বাসের পরিবর্তে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়েও যেতে পারেন কাঁথি৷ তারপর কাঁথি থেকে একটি বাস বা ট্রেকারে চড়ে বসুন৷ মাত্র ৩০ মিনিট গেলেই পৌঁছে যাবেই বগুড়ানজলপাই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.