Advertisement
Advertisement
Purulia

ফের ‘দুয়ার’ খুলল দুয়ারসিনির, শীতের বিদায়বেলায় উইকেন্ডে ঘুরেই আসুন

দুয়ারসিনি থেকে ঘুরে আসতে পারবেন ঘাটশিলাও।

Come to Purulia's Duarsini for a short vacation | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 3, 2021 5:49 pm
  • Updated:February 3, 2021 6:21 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: নতুন চেহারায় দরজা খুলল দুয়ারসিনি প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র। বাংলা-ঝাড়খন্ডের ট্যুরিজম সার্কিটকেও যুক্ত করে দিল পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের দুয়ারসিনি।  কারণ, দুয়ারসিনি থেকে মাত্র কুড়ি কিমির মধ্যেই ঝাড়খন্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডি ও ঘাটশিলা। এবার পুরুলিয়ার দক্ষিণ ট্যুরিজম সার্কিটে পা রেখে অনায়াসেই বেড়ানো যাবে দলমা পাহাড় ছুঁয়ে একেবারে প্রকৃতির কোলে থাকা গালুডি, সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের আবাসস্থল ঘাটশিলা।

গত রবিবার সন্ধেয় রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (সাধারণ) রবিকান্ত সিনহার হাত ধরে দুয়ারসিনির দ্বার খুলল। তবে বনদপ্তরের এই কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম চালাবে নাকি ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি চালাবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, “এই দুয়ারসিনি পুরুলিয়ার পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র বাংলা-ঝাড়খন্ডের ট্যুরিজমকে যুক্ত করে দিল।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: দলত্যাগী বিধায়ক দীপক হালদারের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ ডায়মন্ড হারবার, তুঙ্গে বিতর্ক]

বান্দোয়ান থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের বান্দোয়ান দুই বনাঞ্চলের কুঁচিয়া বিটের অন্তর্গত এই দুয়ারসিনি। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের পর্যটন পুস্তিকায় একেবারে শেষে ২০ নম্বরে নাম ছিল এই দুয়ারসিনির। তবুও অরণ্য সুন্দরী বান্দোয়ানের এই দুয়ারসিনিতে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্য পা রাখতেন পর্যটকরা। বাম আমলে ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বনদপ্তরের তৎকালীন রাষ্ট্র মন্ত্রী বিলাসীবালা সহিস এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। বছর পাঁচেক বনমহলের এই দুয়ারসিনিতে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠলেও বাদ সাধল মাওবাদী কার্যকলাপ। এই ভ্রমণ কেন্দ্রের পাশেই বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতির নির্মীয়মান অতিথি আবাসে মাওবাদীরা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরন করে। প্রকৃতি কেন্দ্রের  কর্মীদেরকে হুমকি দেওয়ায় ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায় এই পর্যটন কেন্দ্রের।

রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রকে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলতে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে টাকার অভাবে সীমানা প্রাচীরের কাজই করা যায়নি। ফলে কাজ শুরুর পরেও থমকে যায় এই পর্যটন প্রকল্প। পরে বনদপ্তর আরও ১১ লক্ষ টাকা ব্যায় করে এই কেন্দ্রকে ফের পূর্ণাঙ্গ পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে তুলে আনল। এই এলাকার সাতগুড়ুম নদীর স্রোত, নান্না বনাঞ্চল, ভালু, ঘোড়াটিকা ড্যাম, দুয়ারসিনি ও ঝাড়খন্ডে যাওয়ার পথে নানান দেউল। সেইসঙ্গে কুইলাপাল জঙ্গলে থাকা চিতল হরিণের ছুটে বেড়ানো, দলমা থেকে আসা হাতির দল দুয়ারসিনির অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে বাড়তি পাওনা। বান্দোয়ান দুই বনাঞ্চলের আধিকারিক হীরক সিনহা বলেন, “দুয়ারসিনিকে ঘিরে থাকা চারপাশের পরিবেশ আমরা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরব। সেই কাজ আমরা শুরুও করে দিয়েছি।” কিছুদিনের মধ্যেই এই কেন্দ্রের বুকিং শুরু হয়ে যাবে। আপাতত এই কেন্দ্রে তিনটি কটেজ ও আটটি ডরমেটরি রয়েছে। কটেজের ভাড়া আড়াই হাজার। ডরমেটরি তিনশো টাকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement