সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে সময় কম৷ কিন্তু সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর করাও তো প্রয়োজন৷ আর তাই দু’দিনের ছুটিতে কাছাকাছি ঘুরে আসার আদর্শ স্থান হতে পারে বুংকুলুং৷ পাহাড়ের কোলে মিরিকের কাছে ছোট্ট এই গ্রাম অলসতার চাদর গায়ে জড়িয়ে ভ্রমণপিপাসুদের অপেক্ষায় থাকে৷
কী দেখবেন
বুংকুলুং আসলে হল মিরিকের কৃষি হাব৷ পায়ে হেঁটে কিন্তু সহজে সেই স্থানে পৌঁছানো যাবে না৷ সেখানে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি অবশ্যই বুক করতে হবে৷ শিলিগুড়ি থেকে ৪৮ কিলোমিটার গেলেই এক অপরূপ সুন্দর গ্রামের দেখা পাবেন৷ যা ক্লান্তি দূর করে মন ভাল করে দেবেই৷ এই গ্রাম থেকে যেদিকেই তাকাবেন, চোখে পড়বে ঘনজঙ্গলে মোড়া সবুজ পাহাড়৷
চাষের জমি ছাড়াও বিস্তীর্ণ খোলা সবুজের শোভা চোখকে তৃপ্তি দেবে৷ শহরে কোলাহলে যা প্রায় অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে৷ ছবির মতো গ্রামটি ঘেরা ১৯টি পুকুরে৷ সেখানে মাছের চাষও হয়৷
বুংকুলুংয়ের কাছেই দেখে নিতে পারেন বালাসন ও মুরমাহ নদী৷ মুরমাহ এবং গয়াবাড়ির চা বাগানে অলস বিকেল কাটিয়েগুলো ভালই কেটে যাবে৷ বছরের যে কোনও সময়ই এই এক টুকরো ভূস্বর্গে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা৷ তবে বর্ষাকালে এখানে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়৷
কীভাবে যাবেন
শিয়ালদা থেকে ট্রেনে শিলিগুড়ি৷ সেখান থেকে গাড়ি বুক করে শিলিগুড়ি-মিরিক হাইওয়ে ধরে ৪৮ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন বুংকুলুং৷ নিউজলপাইগুড়ি স্টেশন থেকেও বুংকুলুং যাওয়া যেতে পারে৷ সময় লাগবে ঘণ্টা দেড়েক৷
কোথায় থাকবেন
বুংকুলুংয়ে থাকার জন্য রয়েছে একাধিক হোমস্টে৷ সেখানে নেপালি লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়৷ আশেপাশের জায়গা ঘুরে দেখার জন্য অনায়াসে গাড়ি বা ঘোড়ার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে৷ আর নানান স্বাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা তো রয়েইছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.