Advertisement
Advertisement
Hansuli Bank

‘হাঁসুলী বাঁক’ এবার হবে পিকনিক স্পট, উদ্যোগী বীরভূম জেলা প্রশাসন

বাঁক সংলগ্ন পুকুরে থাকবে বোটিংয়ের ব্যবস্থা।

Birbhum district administration to convert Hansuli Bank to picnic spot | Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:July 19, 2021 3:42 pm
  • Updated:July 19, 2021 4:40 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, বোলপুর : তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘‌হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’‌‌র (Hasuli banker upakatha) হাঁসুলী বাঁককে সজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। লাভপুর থেকে কোপাই নদীর হাঁসুলী বাঁক পর্যন্ত পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। হাঁসুলি বাঁকের পাশে তৈরি করা হবে পিকনিক স্পট, ফুলের বাগান। নদী সংলগ্ন একটি পুকুরে পর্যটকদের জন্য থাকবে বোটিংয়ের ব্যবস্থা। তারাশঙ্কর‌প্রেমী বা পর্যটকরা যাতে হাঁসুলী বাঁক ঘুরে দেখার পাশাপাশি সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে পারেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা। বীরভূম জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন লাভপুর তথা বীরভূমের মানুষ।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘‌হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’‌ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস। সেখানে তিনি সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থা, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-‌দুঃখকে তুলে ধরেছেন। বর্তমানে সেই সমাজ ব্যবস্থা, মানুষের জীবনযাত্রার অনেক পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু একই থেকে গিয়ে কোপাই নদীর হাঁসুলী বাঁক। তারাশঙ্কর তাঁর লেখাতে নদীর এই বাঁককে মেয়েদের হাঁসুলী হারের সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন, “কোপাই নদীর প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় যে বিখ্যাত বাঁকটার নাম হাঁসুলী বাঁক–অর্থাৎ যে বাঁকটায় অত্যন্ত অল্প-পরিসরের মধ্যে নদী মোড় ফিরেছে, সেখানে নদীর চেহেরা হয়েছে ঠিক হাঁসুলী গয়নার মতো। বর্ষাকালে সবুজ মাটিকে বেড় দিয়ে পাহাড়িয়া কোপাইয়ের গিরিমাটি-‌গোলা জলভরা নদীর বাঁকটিকে দেখে মনে হয়, শ্যামলা মেয়ের গলায় সোনার হাঁসুলী ;‌ কার্তিক-‌অগ্রহায়ণ মাসে জল যখন পরিষ্কার সাদা হয়ে আসে–তখন মনে হয় রুপোর হাঁসুলী। এই জন্যে বাঁকটার নাম হাঁসুলী বাঁক।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: একাধিক সমস্যা, করোনা পরীক্ষা শিবির চালুর পরই বন্ধ দিঘার হোটেলগুলিতে]

পরিকাঠামোর অভাবের জন্য এই হাঁসুলী বাঁক দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক, সাধারণ মানুষের কাছে ছিল অনেকটা স্বপ্নের মতো। উপকথা পড়ে তাঁরা নিজেদের মতো করে ভেবে নিতেন হাঁসুলী বাঁককে। কিন্তু এবার বাস্তবের ছোঁয়া পাবে পর্যটক ও সাধারণ মানুষ। বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে লাভপুর পুরনো বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে হাঁসুলী বাঁক পর্যন্ত। রাস্তার কাজ শেষ হলে হাঁসুলী বাঁকের পাশে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে তৈরি করা হবে পিকনিক স্পট, থাকবে পানীয় জলের ব্যবস্থা। একইভাবে ফেন্সিং দিয়ে ঘিরে তৈরি করা হবে ফুলের বাগান। বাঁক সংলগ্ন পুকুরে থাকবে বোটিংয়ের ব্যবস্থা। পুরোটাই হবে লাভপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে।

এই বিষয়ে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “হাঁসুলী বাঁক দেখতে প্রচুর মানুষ আসেন বাইরে থেকে। তাই এই এলাকার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করে একটি পর্যটক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।”

[আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ, এবার দার্জিলিং সফরেও বাধ্যতামূলক COVID রিপোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement