সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নানা রঙের দিনগুলো এখন যেন স্বপ্নের মতো। দৌড়ে গিয়ে ট্রেনে (Indian Railways) উঠে পড়া। ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাওয়া। অচেনা মানুষগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যাওয়া। আবার দিনান্তে স্বপ্ননীল আকাশের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফিরে আসা। করোনা কালে হারিয়ে গিয়েছে রেলগাড়ির ঝমাঝম শব্দ। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। সুদিন ফেরার আসায় চলুন ফিরে যাওয়া যাক অতীতের সুন্দর মুহূর্তে। ভারচুয়াল সফরে আজ চলুন মনভোলানো পাঁচটি রেলযাত্রায়।
দার্জিলিং রেল (Darjeeling Himalayan Railway, West Bengal)
বাঙালির একান্ত আপন দার্জিলিং। ছাদের ধারের রেলিংটার পাশে তাকালেই দেখা যেতে পারে শৈল শহরের টয় ট্রেন। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে যখন ট্রেন চলবে মুগ্ধ হয়ে যাবেন শৈলরানির সৌন্দর্যে। ঘুম (Ghoom) স্টেশনে পৌঁছানোর পর আপনাকে স্বাগত জানাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kangchenjunga)।
নীলগিরি পাহাড়ের রেল (Nilgiri Mountain Railway, Tamil Nadu)
উটি (Ooty) যাওয়ার পথে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা। আপনাকে প্রতি পদে মুগ্ধতায় ভরিয়ে দেবে। দু’পাশে সবুজ নীলগিরি পাহাড়। আচমকা দেখা পাওয়া জলস্রোত। ১৬টি সুড়ঙ্গপথ। পাহাড়ের ধাপে ধাপে চা বাগান রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাবে।
কালকা-শিমলা রেল (Kalka-Shimla Railway, Himachal Pradesh)
৯৬ কিলোমিটার রেল পথে মোট ১০৭টি সুড়ঙ্গ রয়েছে। যাত্রার প্রতিটি বাঁকে ছবির মতো আঁকা দৃশ্য আপনার চোখের সামনে ভাসবে। যেদিকে তাকাবেন মাথা পাহাড় দেখতে পাবেন। পাহাড়ের ধাপে বিভিন্ন চাষজমিরও দেখা পাবেন। দেখতে পাবেন পাথরের উপর বয়ে চলা ছোট্ট জলধারা।
কাংড়া উপত্যকার রেল (Kangra Valley Railway, Himachal Pradesh)
পাঠানকোট থেকে যোগিন্দর নগর পর্যন্ত যায় এই পথ। পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া এই পথে প্রায় ৯৫০টি সেতু পড়ে। ১৬৩ কিলোমিটার এই পথে একাধিক দুর্গ ও মন্দিরও পড়ে।
মাথেরান রেল (Matheran Hill Railway, Maharashtra)
নেরাল থেকে মাথেরান যাওয়ার এই পথ প্রায় ৭৭ বছরের পুরনো। দু’পাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা। পাহাড়ের মুক্ত বাতাসে যেন আপনার সমস্ত চিন্তা গায়েব হয়ে যাবে। বর্ষাকালে প্রায় সময়ই রেললাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাকি সময় যাওয়া যেতেই পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.