রঞ্জন মহাপাত্র: পুজো (Durga Puja 2020) আসতে এখনও সপ্তাহ দুয়েক। ইতিমধ্যেই করোনাকালে রীতিমতো বেনজির কাণ্ড! পুজোয় দিঘা (Digha), মন্দারমণি (Mandarmani) প্রায় ‘হাউসফুল’! একই ছবি তাজপুরেও। বেশিরভাগ হোটেলেই পুজোর ক’দিনের অনলাইন বুকিংয়ে ইতি টানা সারা। পুজো এলেই পাহাড়, জঙ্গল কিংবা সমুদ্রের ঠিকানায় দূর দূরান্তে পাড়ি দেওয়াই বরাবর বাঙালির দস্তুর। সেই ট্র্যাডিশনেই এবার হঠাৎ ‘ব্রেক’। অতিমারীর ধাক্কায় ট্রেন, বিমানের মতিগতির ঠিক নেই। আবার পাডা়য় বসে পুজোয় মেতে ওঠার ক্ষেত্রেও এবার বিধির গেরো বড় কম নয়। তাই পুজোর ক’টা দিন অন্যভাবে কাটাতে এবার বাঙালির প্রিয় ডেস্টিনেশন ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু’ দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর।
উইক এন্ড হোক বা টানা ছুটির অবসরে দিঘা, মন্দারমণিতে ভিড় জমে বরাবরই। কিন্তু পুজোয় এমন ভিড় এই প্রথম বলে মানছেন হোটেল মালিকরাও। না-ই বা চলল ট্রেন। অল্প খরচে আর নামমাত্র জার্নির ধকলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে দিঘা, তাজপুরের বিকল্পই বা কী! কাজেই সপ্তমী থেকে দশমী এবার অন্য পুজোর সাক্ষী হতে চলেছে সৈকত শহর। পর্যটকদের ভিড়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠতে চলেছে সাগর সৈকত।
দিঘা, মন্দারমণি বা তাজপুরের প্রায় সব হোটেলই অনলাইন বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে। খাতায়-কলমে প্রায় সব হোটেলেরই ৯০ শতাংশ ঘর ইতিমধ্যেই ‘বুকড’। এই ট্রেন্ড দেখে হোটেল ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছেন এবার পুজোয় ভিড় কতটা ব্যাপক হতে চলেছে। তবে সাবধানতার কারণেই অতিরিক্ত মুনাফার লোভ সামলে বাকি থাকা সামান্য কিছু ঘরের ‘বুকিং’ আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা।
নিউ দিঘা হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবব্রত দাস জানিয়েছেন, “করোনার জন্যে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ রাজ্যের বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাই এবার পুজোর ছুটিতে দিঘাকেই বেড়ানোর জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। দিঘার অধিকাংশ হোটেল বুকিং শেষ হয়ে গিয়েছে। কোনও পর্যটক যদি কালোবাজারির শিকার হচ্ছেন বলে মনে করেন, তবে যেন তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সংগঠন কিংবা উন্নয়ন পর্ষদ কিংবা দিঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.