Advertisement
Advertisement

সান্দাকফুতে বিকল্প ট্রেকিং রুটের খোঁজ পর্যটন দপ্তরের

অ্যাডভেঞ্চার টুরিজমে উৎসাহ বাড়ছে পর্যটকদের।

Alternative trekking route in Sadakphu
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:November 19, 2018 9:23 pm
  • Updated:November 19, 2018 9:23 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে শান্তি ফিরতেই অ্যাডভেঞ্চার টুরিজমে ভিড় বাড়ছে। গত বছর প্রায় পনেরো হাজার ট্রেকার সান্দাকফুতে পা রেখেছেন। এবার নভেম্বরের শুরু থেকেই পর্যটকের ঢল নেমেছে পাহাড়ি পথে। আরও বিদেশি পর্যটক টানতে পাহাড়কে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। খোঁজ শুরু হয়েছে বিকল্প ট্রেকিং রুটেরও।

[অর্কিডের ভিড়ে কুমির দেখে ছুটি কাটাতে চান? রইল সেরা ঠিকানার খোঁজ]

Advertisement

পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, গত বছর যে পনেরো হাজার পর্যটক ট্রেকিংয়ের জন্য সান্দাকফুতে পা রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে সাড়ে তিনশো জন ছিল বিদেশি। গ্রেট সিঙ্গালিলা ট্রেকিং রুটের টানে এবারও ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এই রুটের অনেকটাই এখন যান চলাচলের উপযোগী। ফলে হতাশ হচ্ছেন অনেকেই। গত বছরও এমনটাই আভাস মিলেছিল বিদেশি পর্যটকদের একাংশের থেকে। তাই সান্দাকফুতে বিকল্প ট্রেকিং রুটের সন্ধান করতে শুরু করেছে পর্যটন দপ্তর। মিরিকের মহকুমা শাসক অশ্বিনী রায় জানিয়েছেন, “বিকল্প রুটের জমি সমীক্ষার কাজ শেষ। এখন শুধু পরিকল্পনা রূপায়নের কাজ বাকি।”

কেমন হবে সান্দাকফুতে বিকল্প ট্রেকিংয়ের রুটটি? জানা গিয়েছে, তরাইয়ের পানিঘাটার কাছে লোহাগড় সংলগ্ন জঙ্গল, চা-বাগান ও পাহাড় ঘেরা প্রায় পনেরো কিলোমিটার পাহাড়ি দুর্গম পথ ট্রেকিং করতে পারবেন পর্যটকরা। এই রুটের একদিকে সিকিম, আর অন্যদিকে নেপাল। শুধু তাই নয়, তরাই লাগোয়া মিরিকের চেঙ্গাখোলা ও মাঞ্জাখোলাতে ইকো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ভাবনাচিন্তা চলছে। পর্যটকরা হাতের কাছেই পেয়ে যাবেন কটেজ। তাই পথ দুর্গম হলেও সমস্যা হবে না।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা গোটা এলাকা। রয়েছে পাহাড়ি ঝর্না। টিংলিং থেকে গোটা পাহাড়কে মনে হবে ক্যানভাসে আঁকা ছবি। গোটা রুট ঘন জঙ্গলের পেট চিরে গিয়েছে। গা ছমছমে পরিবেশ হলেও ভয়ের কিছু নেই। কিছুটা দূরে দূরেই মিলবে কটেজ। মিরিকের বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, “কাজ শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পার্ক তৈরির কাজও শুরু হবে।” জানা গিয়েছে, সান্দাকফুর বিকল্প ট্রেকিং রুটে যাত্রা শুরু হবে মাঞ্জাখোলা সংলগ্ন খাপরাইল থেকে। পুটুং, ছোটা টিংলিং, কিছু বস্তি, চা বাগান ও জঙ্গল ছুঁয়ে পর্যটকরা পৌঁছে যাবেন সান্দাকফু। প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে দু’দিন। রুট চালু হলে  পর্যটকরাই শুধুমাত্র অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ ফিরে পাবে না,  উপকৃত হবেন এলাকার বাসিন্দারাও।

[ শীতের রোম্যান্টিক দুপুরে প্রিয়জনকে নিয়ে যান এই জায়গাগুলিতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement