সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবার বা প্রিয় মানুষটির সঙ্গে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে মন্দ লাগে না৷ কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ার মজাটাই আলাদা৷ ছোটবেলার বন্ধু বা অফিসের সমবয়সিদের সঙ্গে সাত-পাঁচ না ভেবে যেদিন খুশি ঘোরার প্ল্যান ছকে ফেলা যায়৷ এমনকী বন্ধুদের সঙ্গে সেই সব জায়গাতেও পাড়ি দেওয়া সম্ভব, যেখানে পরিবার বা প্রিয়জনকে নিয়ে যাওয়ায় অসুবিধা হতে পারে৷ সুউচ্চ পাহাড়ে কনকন ঠান্ডা হোক বা আতঙ্কে ঘেরা গুহা, জব সাথ হ্যায় দোস্ত, তো কেয়া ডর! এমনই সাতটি জায়গার হদিশ দেওয়া রইল এই প্রতিবেদনে৷
১. গোয়া
বিবাহিত বা অবিবাহিত যে কোনও পুরুষ বা মহিলাকে জিজ্ঞেস করুন, কার সঙ্গে তিনি গোয়া যেতে চান? বেশিরভাগের থেকেই একটা উত্তর মিলবে৷ বন্ধুদের সঙ্গে৷ সমুদ্রসৈকতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করে কাটানো বা বিয়ার হাতে নাইট ক্লাবে কোমর দোলানো কি বন্ধু ছাড়া জমে? সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়৷ বিশেষ করে, ডিসেম্বরে সানবার্ন উৎসবে গোয়ায় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় যুবপ্রজন্মের৷
২. সান্দাকফু, দার্জিলিং
বিশ্বের সর্বোচ্চ পাঁচটি পার্বত্য এলাকার মধ্যে একটি হল সান্দাকফু৷ যাঁরা ট্রেকিং করতে ভালবাসেন, তাঁদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় স্থান এটি৷ আর ট্রেকিংয়ের কথা বললে তো বন্ধুদের কথা চলেই আসে৷ মামা-মাসিদের সঙ্গে তো আর সচরাচর কাউকে ট্রেকিংয়ে যেতে দেখা যায় না৷ যেসব ট্রাভেল এজেন্সি ট্রেকিংয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে, অনেকে আবার সেই দলেও যোগ দেন৷ মোট কথা, পিঠে বড় ব্যাগ চাপিয়ে দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলার জন্য সবচেয়ে কাছের হাতটা হল কোনও বন্ধুর৷
৩. মেঘালয়ের গুহা
গুহা মানেই তার পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য আর রোমাঞ্চ৷ এমন অনেক ছোট বড় গুহা রয়েছে পূর্ব ভারতের রাজ্য মেঘালয়ে৷ ক্রেম ফিলুট, ক্রেম লিয়াট প্রাহ, মসমাই অ্যান্ড সিজু হল এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য৷ এই সব ভয়ঙ্কর বিপদসম্পন্ন গুহায় হয়তো বাড়ির লোকেরা যেতে রাজি হবেন না৷ তাই বলে কি প্রকৃতির এই সৌন্দর্য অদেখাই থেকে যাবে? তাও কি হয়! তাই বন্ধু থাকলে নো টেনশন৷
৪. মানালি-লেহ রোড ট্রিপ
ঘুরতে যাওয়াটা যাঁদের কাছে অ্যাডভেঞ্চার, তাঁদের জন্য আদর্শ সফর হল মোটরবাইকে মানালি থেকে লেহ পৌঁছানো৷ একে ভারতের পথ সফরের মক্কা বলে৷ বরফে ঢাকা পাহাড় ও গভীর খাদের মধ্যে দিয়ে কনকনে ঠান্ডায় মোটরবাইক চালিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে যে কী মজা রয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা বাইকারদের ভালই আছে৷ দু’পাশে ফেলে আসা ছোট্ট গ্রাম আর প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখলে মনে মনে গেয়ে উঠতে পারেন, “এই পথ যদি না শেষ হয়…”৷
৫. ভানগড়, রাজস্থান
ভুতুড়ে স্থান হিসেবে পরিচিত রাজস্থানের এই জায়গায় যেতে অনেকেরই গা ছমছম করে৷ এক্ষেত্রেও সেরা সঙ্গী হল বন্ধুরাই৷ ভানগড়ের ফোর্টে অজানা কোনও রহস্য উন্মোচন করতে অনেক সময়ই বন্ধুরা দল বেঁধে বেরিয়ে পড়েন৷
৬. হৃষীকেশে ব়্যাফ্টিং
ব়্যাফ্টিং করতে ভালবাসেন? কিংবা অন্তত একবার সুযোগ পেলে করতে চান? তাহলে আপনার গন্তব্য হোক হৃষীকেশ৷ এবড়ো-খেবড়ো পাথর আর খানাখন্দের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গা৷ আর সেই স্রোত কাটিয়ে এগিয়ে চলার সময় অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বেড়ে যেতে বাধ্য৷
৭. চাদর – দ্য ফ্রোজেন রিভার
লাদাখের বিখ্যাত এলাকা এটি৷ নদী জমে বরফের আকার ধারণ করেছে৷ এখানকার তাপমাত্রা সারা বছরই ০ ডিগ্রির চেয়েও কম থাকে৷ আন্দাজ করতেই পারছেন ঠিক কতটা ঠান্ডায় গিয়ে পড়তে হবে৷ বরফে ঢাকা নদীর মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়৷ এমন এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে একটা গ্রুফি নিঃসন্দেহে বাঁধিয়ে রাখার মতোই হবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.