সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।’ এটাই ভারতের ভাবমূর্তি। এ ভূমে বাস নানা জাতি-ধর্ম-বর্ণের মানুষের। আর তাই দেশের প্রতিটি প্রান্তেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ধর্মের কাহিনি। কোথাও মন্দির রূপে তা চোখে পড়ে তো কখনও গুরুদ্বার। পূণ্যের আশায় তীর্থস্থানে পৌঁছে যান অনেকেই। ঈশ্বর দর্শনে পবিত্র হয় মন। তবে তীর্থস্থান বলতেই সাধারণত চোখের সামনে ভেসে ওঠে কাশী, অমৃতসর কিংবা কেদারনাথ। কিন্তু এ দেশেই এমন কিছু মন্দির, দরগা কিংবা মঠ রয়েছে, যেখানে সচরাচর পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ে না। এমনই একটু অন্যরকম পুণ্যস্থানের সন্ধান রইল এই প্রতিবেদনে।
১. চৌসাথ যোগিনী মন্দির, মধ্যপ্রদেশ: মধ্যপ্রদেশের চম্বল উপত্যকার মোরিনায় অবস্থিত এই মন্দির বহু প্রাচীন। স্থানীয়দের কথায়, মা দুর্গার ৬৪ যোগিনীকে উৎসর্গ করে তৈরি মন্দিরটি। মন্দিরের ভিতর ঢুকলেই চোখে পড়বে ৬৪টি আলাদা কক্ষ। তান্ত্রিকরা এখানে তন্ত্র সাধনাও করে থাকেন। মজার বিষয় হল, দিল্লির পার্লামেন্টের পরিকাঠামোও এই মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছিল। পর্যটকরা এখানে খুব একটা ভিড় জমান না। কিন্তু গেলে অদ্ভুত এক শান্তির পরিবেশ অনুভব করবেন।
২. সরখেজ রোজা, গুজরাট: আমেদাবাদের একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান। সুফি সন্ত শেখ আহমেদ খাট্টু গঞ্জ বক্সের বাড়ি বলেই পরিচিত এই স্থান। কথিত আছে, আমেদাবাদ শহর পত্তনের নেপথ্যে বড় অবদান ছিল তাঁর। এর মধ্যে রয়েছে একটি গ্রন্থাগারও।
৩. হোলি ক্রস গির্জা, তামিলনাড়ু: মাদুরাই থেকে ঘণ্টা চারেকের পথ মনপদ। ওয়াটার স্পোর্টস ডেস্টিনেশন হিসেবেও এখন পরিচিত এই শহর। খ্রিস্টানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি স্থান এটি। হোলি ক্রস গির্জায় শান্তির খোঁজে পৌঁছে যান খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। কথিত আছে, ১৫৪০ সালে মনপদে এসে ভয়ংকর ঝড়ঝঞ্ঝায় আক্রান্ত হয়েছিল একটি পর্তুগিজ জাহাজ। সেই সময় ঈশ্বরের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন। তাঁর প্রার্থনা বৃথা যায়নি। নিরাপদেই ফিরতে পেরেছিলেন। তখনই সেই এলাকায় একটি ক্রস স্থাপন করে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরই এখানে স্থাপিত হয়েছিল গির্জাটি।
৪. আনন্দপুর সাহিব, পাঞ্জাব: খালসার জন্মস্থান। ১৬৬৫ সালে শিখ সম্প্রদায়ের নবম গুরু, গুরু তেগ বাহাদুর প্রতিষ্ঠা করেন এই গুরুদ্বার। বিশাল এলাকা নিয়ে তৈরি এই গুরুদ্বার শিখদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এখানে নানা ভক্তিমূলক গানের আয়োজন করা হয়।
৫. নামড্রোলিং মনাস্ট্রি, কর্ণাটক: অধিকাংশ তিব্বতিদের বাস হিমাচলপ্রদেশ এবং সিকিমে। তবে কর্ণাটকেও এমন একটি মনাস্ট্রি আছে যা অনেকেরই অজানা। বাইলাকুপ্পে শহরের এক্কেবারে উপর প্রান্তে অবস্থিত এই মনাস্ট্রি। এখানকার দেওয়াল রঙিন হয়ে উঠেছে থাঙ্কা পেন্টিংয়ে। প্রবেশ পথে চোখে পড়বে একটি গৌতম বুদ্ধের তিনটি সোনালি মূর্তি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.