সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড়-জঙ্গল-সমুদ্র, জানা-আজানার নেশায় সর্বত্রই বিচরণ পরিযায়ী মানুষজনের৷ কিন্তু, বদ্ধ ঘরেও রয়েছে সমাজের অনেক অদেখা চালচিত্র৷ যা না দেখলে জীবনের সফর অসম্পূর্ণই থেকে যাবে৷ ইতিহাসের এমন কিছু অধ্যায়ই লুকিয়ে রয়েছে জেলের চার দেওয়ালের অন্দরেও৷ না, সব জেলের অন্দরে সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই৷ ব্যতিক্রম শুধু এই পাঁচ স্থান৷
১) সেলুলার জেল – সমুদ্রের নেশায় যাঁরা আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে যান, তাঁদের কাছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সাক্ষী সেলুলার জেল৷ জেলের প্রতিটি স্থান যেন শোনায় বটুকেশ্বর দত্ত, বীর সাভারকারদের কাহিনি৷ এখন ছুটির দিন ছাড়া সব দিনই সাধারণের জন্য খোলা থাকে অতীতের এই আয়না৷
২) ভাইপার আইল্যান্ড – সেললুলার জেলের মতো জনপ্রিয় নয়, তবে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বহন করে আন্দামান-নিকোবরের এই বন্দিশালাও৷ শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামী নয় ভারতের অনেক রাজাও বন্দি ছিলেন এখানে৷
৩) হিজলি জেল – পশ্চিমবঙ্গের এই জেলের কথা অনেকেই হয়তো শোনেননি৷ ১৯৩০ সালে তৈরি হওয়া এই কারাগারেই দুই অভিযুক্তকে নৃশংসভাবে গুলি করে মেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনস্থ পুলিশ৷ ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসুও৷ আজ আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসের অন্দরে সংরক্ষিত হয়েছে এই কারাগার৷ নাম দেওয়া হয়েছে নেহেরু মিউজিয়াম অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজি৷
৪) তিহার জেল – দিল্লির এই কারাগার প্রায় দিনই উঠে আসে খবরের শিরোনামে৷ লালুপ্রসাদ যাদব থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পর্যন্ত বহু খ্যাতনামা ব্যক্তি বাস করেছেন এবং করছেন এই হাজতের অন্দরমহলে৷ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই জেলখানাটির কিছু নির্দিষ্ট অংশে পর্যটকরা বিনা বাধায় যেতে পারেন৷
৫) আগা খান প্যালেস – জেল নয় প্রাসাদ হিসেবেই এটি তৈরি করেছিলেন সুলতান তৃতীয় মহম্মদ শাহ আাগা৷ তবে ইংরেজরা এখানেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মহাত্মা গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী কস্তুরবাকে৷ এখানেই মৃত্যু হয় কস্তুরবা গান্ধীর৷ স্বাধীনতার পরে এখানে তৈরি হয়েছে মিউজিয়াম৷ যেখানে প্রদর্শিত হয়েছে গান্ধীজির আদর্শ ও জীবন দর্শন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.