Advertisement
Advertisement

হাতিকে নিজে স্নান করাতে চান? নতুন বছরে সুযোগ মিলবে এখানে

হাতিদের সঙ্গে জলকেলিতে মেতে ওঠার সুযোগও পাবেন।

Tourists can now bath with jumbos in Bengal safari Park
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:December 31, 2019 6:06 pm
  • Updated:December 31, 2019 6:06 pm  

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: এতদিন হাতির পিঠে ভ্রমণের সুযোগ মিলেছে। নতুন বছরে পর্যটকরা ইচ্ছে হলে হাতিকে মন ভরে স্নান করাতে পারবেন। ওদের সঙ্গে জলকেলিতে মেতে ওঠার সুযোগ পাবেন। সৌজন্যে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক। পর্যটক টানতে সোমবার থেকে মনোরঞ্জনের ওই প্রকল্পের সূচনা করেছে বনদপ্তর। বনকর্তাদের দাবি, ভ্রমণে একঘেয়েমি কাটাতে সাফারি পার্কে বৈচিত্র‌ আনা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে বাটারফ্লাই গার্ডেন, ইকোপার্ক।

বেঙ্গল সাফারি পার্কের জু ডিরেক্টর ধর্মদেও রাই বলেন, “এতদিন হাতি সাফারি ছিলই। এবার বাড়তি আনন্দের জন্য হাতিকে স্নান করানোর সুযোগ করে দেওয়া হল। এটা অভিনব উদ্যোগ।” সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পে উর্মিলা ও লক্ষ্মী নামে দু’টি কুনকি হাতিকে ব্যবহার করা হবে। নিরাপত্তার জন্য ওদের সঙ্গে থাকবেন একজন মাহুত এবং চারজন বনকর্মী। দুপুর নাগাদ হাতি দু’টিকে নিয়ে যাওয়া হবে সাফারি পার্কের মেচি নদীপাড়ে। সেখানে প্রতি প্যাকেজে মাত্র ছয়জন পর্যটকের যাওয়ার সুযোগ থাকছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত রবিঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত সুন্দরবনের বাংলো, হতাশ পর্যটকরা ]

এজন্য মাথাপিছু দিতে হবে পাঁচশো টাকা। হাতি নদীর জলে নামতে পর্যটকরা ইচ্ছে মতো ওদের কান, শুঁড় ধরে কচলে স্নান করাতে পারবেন। জলে গা এলিয়ে হাতিরা যখন শুঁড়ে জল নিয়ে ঝরনার মতো ছড়িয়ে দেবে, তখন আপনারও স্নান হয়ে যাবে। কম তো নয়, প্রায় এক ঘন্টা হাতির এত কাছে সময় কাটানোর সুযোগ অন্য কোথাও নেই বলেই বনকর্মীদের দাবি। কী ভাবছেন, ভয়ের কিছু, মোটেও না। এখানে নদীকে ঘিরে রাখা আছে উঁচু দেওয়াল ও তার জালে। অনেক উঁচু থেকে বনকর্মীরা নজরদারি চালাবেন। পর্যটকদের জলে ওঠানামার জনা বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সমস্যার তেমন কিছু নেই। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, হাতির আচরণ, চালচলন বুঝতে এই প্যাকেজ যথেষ্ট।

সাফারি পার্কে কিছুদিন আগেই বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে চালু হয়েছে টয় ট্রেন। লেপার্ড ক্যাট ও কুমির আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বছরেই সেটা হবে। সাফারি পার্কের জু-ডিরেক্টর তাই দাবি করেন, এখন বেড়াতে এসে সময় কাটাতে সমস্যা হবে না। অনেক কিছুই দেখার থাকবে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের পরিকল্পনাও হয়েছে। এজন্য খরচ হবে ৬০ কোটি টাকা। ওই পরিকল্পনা রূপায়িত হলে সাফারি পার্কের আদল পাল্টে যাবে বলে বনকর্তাদের সূত্রে খবর। তারা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিকল্পনায় প্রজাপতি উদ্যান, ইকো পার্ক-সহ আরও অনেক কিছুই গড়ে উঠবে। এটা হলে সাফারি পার্ক দেশের মধ্যে অন্যতম বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হবে।

[ আরও পড়ুন: বর্ষবরণে পার্টির প্ল্যান করছেন? এই জায়গাগুলিতে ঢুঁ মারতেই পারেন ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement