Advertisement
Advertisement

Breaking News

শিবঠাকুরের আপন দেশে

প্রাচীন কাল থেকেই শিবলিঙ্গে শিবোপসনা প্রচলিত আছে৷ বিভিন্ন পূরাণ এবং তন্ত্রেও শিবপূজোকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ভারত ভ্রমণকালে আদি শঙ্করাচার্য অগণিত শিবলিঙ্গ দেখেছিলেন৷ এর ভিতরে বারোটি শিবলিঙ্গকে তিনি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গরূপে চিহ্নিত করেছিলেন৷ এইসব জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনকে অতি পবিত্র বলে মানা হয়৷

Twelve traditional Jyotirlinga shrines in India
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 4, 2016 6:33 pm
  • Updated:March 1, 2019 3:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাচীন কাল থেকেই শিবলিঙ্গে শিবোপসনা প্রচলিত আছে৷ বিভিন্ন পূরাণ এবং তন্ত্রেও শিবপূজোকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ভারত ভ্রমণকালে আদি শঙ্করাচার্য অগণিত শিবলিঙ্গ দেখেছিলেন৷ এর ভিতরে বারোটি শিবলিঙ্গকে  তিনি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গরূপে চিহ্নিত করেছিলেন৷ এইসব জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনকে অতি পবিত্র বলে মানা হয়৷

দেখে নিন কোথায় আছে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ—

Advertisement

কাশী বিশ্বনাথ— বেনারসের গঙ্গার তীরে দশ্বাশ্বমেধ ঘাট থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের পথ পেরিয়ে বিশ্বনাথ মন্দির৷ ছোট্ট চৌবাচ্চার মধ্যে অবস্থান করছেন মহাদেব৷ মাঝারি আকারের শিবলিঙ্গ৷ কালো হলেও হালকা হলুদের আভা আছে৷ অত্যন্ত মসৃণ লিঙ্গ৷ এটি হল সর্বশ্রেষ্ঠ এবং প্রাচীনতম জ্যোতির্লিঙ্গ৷

কেদারনাথ— উত্তরাখণ্ডে ১১,৭৫৩ ফুট উঁচুতে বরফে ঢাকা কেদার পাহাড়ে মন্দাকিনী নদীর তীরে পঞ্চমুখী কেদারনাথ মহাদেবের অবস্থান৷ কালো পাথরের রূপহীন কেদারনাথ৷ দেববিগ্রহ আট ফুট লম্বা, তিন ফুট চওড়া৷ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর জ্ঞাতিবধজনিত পাপক্ষয় করতে পাণ্ডবরা এসেছিলেন এখানে৷

মল্লিকার্জুনস্বামী— হায়দরাবাদ থেকে ২১২ দূরে কুর্নুল জেলায় আটমাকুরে নাল্লাপর্বতে শ্রীশৈলম অবস্থান মল্লিকার্জুন শিব এবং তার ভৈরব ভ্রমরাম্বা৷ মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কৃষ্ণা নদী৷ চারটি গোপুরম শোভিত মন্দিরটি নির্মিত হয় ১২৩০ সালে৷ সাধারণ গর্ভগৃহের তুলনায় বেশ ছোট৷ কুচকুচে কালো মসৃণ মাত্র ২৫-৩০ সেন্টিমিটার উঁচু শিবলিঙ্গ৷ মাথায় রূপোর নাগরাজ৷

jyotirlanga2

সোমনাথ— গুজরাতে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত সোমনাথ মন্দির৷ পুরাণ মতে, বিশ্বসৃষ্টির সময় থেকেই এখানে বিরাজমান ভগবান শিব৷ এই শিবলিঙ্গের উল্লেখ আছে স্কন্দপূরাণে৷ মূল মন্দিরের দরজা রূপোর চাদরে মোড়া৷ গর্ভগৃহের মাঝখানে বিশাল শিবলিঙ্গ৷ এখানে স্পর্শ করা যায় না৷ ঢুকতে দেওয়া হয় না গর্ভগৃহে৷ দূর থেকে দেখতে হয় রাজবেশে থাকা মহাদেবকে৷

ভীমাশঙ্কর— মহারাষ্ট্রের সহ্যাদ্রি পাহাড়ে ভীমানদীর উৎসস্থলে অবস্থান ভীমাশঙ্কর৷ নাসিক থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে পাহাড় এবং জঙ্গলের মধ্যে এক সমতলভূমিতে সুপ্রাচীন মন্দির৷ ঘন গ্রানাইট পাথরের তৈরি বিশাল মন্দির৷ মাঝারি আকারের শিবলিঙ্গ৷

শ্রীনাগেশ্বর— আরব সাগরের তীরে গুজরাতের বেট দ্বারকায় অবস্থিত মহাতীর্থস্থান নাগেশ্বরধাম৷

নাগনাথ— মহারাষ্ট্রের বিড জেলায় হিঙ্গোলিতে পাহাড়ি জঙ্গল ঘেরা পারলি গ্রামে অবস্থান নাগনাথের৷ মূল মন্দিরটি গঠনশৈলি অসাধারণ৷ নাটমন্দিরের চৌহদ্দি পেরলেই গর্ভগৃহ৷ মন্দিরের সমতল থেকে প্রায় দশ ফুট তলায় গর্ভগৃহ৷ এখানে নেমে দর্শন করতে হয় নাগনাথ জ্যোতির্লিঙ্গকে৷

ঘৃষ্ণেশ্বর— ঔরঙ্গাবাদ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে বেরুল গ্রামেই আদি অনন্তকাল ধরে বিরাজমান ভগবান ঘৃষ্ণেশ্বর মহাদেব৷ পাহাড় এবং জঙ্গল ঘেরা টোপর আকৃতির মন্দিরে আছে ছোট্ট লিঙ্গটি৷

মহাকালেশ্বর— মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে শিপ্রা নদীর তীরে মহাকালেশ্বর মন্দির৷ মন্দিরের ঠিক মাঝখানে মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ৷ উচ্চতা প্রায় আড়াই ফুট৷ এখানকার শিব দক্ষিণামূর্তি৷

ত্র্যম্বকেশ্বর— মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে ব্রহ্মগিরি পাহাড়ে অবস্থান৷ লিঙ্গের আকার বড় নয়, একেবারেই ছোট৷ লিঙ্গমূর্তির কাছে রয়েছে গোদাবরী নদীর উৎসস্থল৷ এই লিঙ্গমূর্তি তিন ভাগে বিভক্ত এবং অন্য শিবলিঙ্গের চেয়ে আলাদা৷

ওঙ্কারেশ্বর— মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর স্টেশন থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে নর্মদা নদীর তীরে অবস্থান ওঙ্কারেশ্বর মহাদেব৷ পাঁচতলা মন্দিরের গর্ভগৃহে ছোট্ট শিবলিঙ্গ৷ সামান্য উচ্চতা৷ জাতিধর্ম নির্বিশেষে স্পর্শ করে পূজো দেওয়া যায়৷

রামেশ্বরম— তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে সমুদ্র তীরে কাছে অবস্থিত এই জ্যোতির্লিঙ্গ৷ অধিকাংশ সময় রাজরাজেশ্বর বেশে ঢাকা থাকেন মহাদেব৷ দর্শনার্থীদের কর্পূরের আলোয় দর্শন করতে হয়৷ গর্ভগৃহ প্রায় অন্ধকার৷ সোনার সিংহাসনে অবস্থান করেন রামনাথস্বামী৷ উচ্চতা একফুট৷ বিগ্রহকে এখানে স্পর্শ করা যায় না৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement