সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশাকে গোল্লায় পাঠিয়ে রসগোল্লার দখল পেয়েছে বাংলা। মিষ্টি যুদ্ধে জয়ী বাঙালির পাতে এখন প্রায় প্রতিদিনই রসগোল্লার দেখা মিলছে। মিষ্টির দোকানে ঢুঁ মারলে রসের অথবা নলেন গুড়ের রসগোল্লার কদর যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু জানেন কি, এ শহরের বুকেই এমন একটি রেস্তরাঁ রয়েছে, যেখানে গেলে খেতে পারবেন ২৫০ রকমের রসগোল্লা? না, এতটুকু বাড়িয়ে বলা হচ্ছে না। ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন রঙের রসগোল্লা সাজানো রয়েছে এই রেস্তরাঁয়।
এই রেস্তরাঁয় এখনও পা না রেখে থাকলে বলাই যায় যে আপনি এত ধরনের রসগোল্লার স্বাদ এখনও চেখে দেখেননি। নাম শুনেছেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে। ভাবতে পারেন ব্লু লেগুন কিংবা তরমুজ ফ্লেভারের রসগোল্লাও হতে পারে? সত্যিই এই রেস্তরাঁয় না এলে বিশ্বাস করবেন না। আর এ সবই বাস্তবায়িত হয়েছে এক মহিলার সৌজন্যে। স্বাতী শরফ। রসগোল্লার পাশাপাশি তাঁর হাতের জাদুতে গড়ে উঠেছে ভিন্ন স্বাদের মিষ্টিও। এসব বিষয়ে নিজের মায়ের কাছেই হাতেখড়ি হয়েছিল স্বাতীর। ৫০টি স্বাদের রসগোল্লা বানাতেন তিনি। খাদ্যরসিকদের মন জয় করতে বেশি সময় লাগেনি। ধীরে ধীরে বাড়ে নাম-যশ-প্রতিপত্তি। ফলে তাঁদের জিভে জল আনার ইচ্ছেটাও আরও বেড়ে যায় স্বাতীর। এখন তাঁর হাতে তৈরি হয় ২৫০ রকমের রসগোল্লা!
এর মধ্যে গ্রিন চিলি, ফুচকা, অরগ্যানিক রোস, কালা খাট্টা, লেমন বার্লি ফ্লেভারগুলি বেশি জনপ্রিয়। আর ছোটরা বেশি পছন্দ করে চকোলেট, আলফোনসো, স্যান্ডলউড, ক্যাপুচিনো কফি স্বাদের রসগোল্লা। বড়দের জন্য রয়েছে ভডকা, বিয়ার, ব্রিজার ফ্লেভারও। নাম আর রঙের বৈচিত্র থাকলেও রসগোল্লার চেহারাখানি কিন্তু বাঙালির খাঁটি রসগোল্লার মতোই থাকে। শহরের ফুড ফেস্টিভ্যালেও প্রশংসা কুড়িয়েছে তাঁর এই অনন্য সৃষ্টি। নিজের রেস্তরাঁর জন্য প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজারটি রসগোল্লা বানিয়ে থাকেন স্বাতী। এখনও ভাবছেন? ট্যাংরার অ্যাকটিভ একারসে একবার ঘুরেই আসুন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.