সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তান কোনও জিনিসের জন্য বায়না করছে! অথবা বন্ধুমহলে পাত্তা পেতে মোবাইল কিনে দেওয়ার আবদার করছে! শান্ত করতে সহজ উপায় হিসেবে মা-বাবা কিংবা অভিভাবকরা তাদের হাতে তুলে দেন স্মার্টফোন। আর তা পেয়েই ইউটিউবে ভিডিও, OTT প্ল্যাটফর্মে সিরিজ দেখে কিংবা গেম খেলে মুখে হাসি ফোটে তাদের। কিন্তু এই ছোট ছোট বিষয়গুলি যে কী মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে, তা হয়তো টেরও পাওয়া যায় না। এবার এ নিয়েই সতর্ক করলেন শাওমি ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও মানু কুমার জৈন।
সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরে জৈন জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ২৪ বছরের ছেলেমেয়েদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি সবচেয়ে বেশি। দিনের অনেকটা সময় স্মার্টফোনে চোখ আটকে থাকে তাদের। আর এই প্রবণতা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। ওয়াশিংটন ডিসি-র একটি সংস্থার প্রকাশিত গবেষণা বলছে, যে শিশুকন্যারা ৬ বছর বয়সেই হাতে স্মার্টফোন পেয়ে যায়, তাদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই নানা মানসিক সমস্যায় ভোগে। ১৮ বছরের মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হার ৪৬ শতাংশ। ৬ বছরের বাচ্চা ছেলেদের ক্ষেত্রে মানসিক অসুস্থতার হার ৪২ শতাংশ। আর ১৮ বছরের তরুণদের মধ্যে এই সমস্যা হয় ৩৬ শতাংশেরই।
তাই জৈনের অনুরোধ, অল্প বয়সে বাচ্চাদের হাতে কোনওভাবেই স্মার্টফোন দেবেন না। তাদের মোবাইল থেকে যতদিন দূরে রাখা সম্ভব, ততই শ্রেয়। জৈনের সতর্কীকরণের প্রমাণ হাতেনাতে পেয়েছেন অনেক অভিভাবকই। তাঁদের দাবি, করোনা অতিমারী ও লকডাউনে তাদের সন্তানদের স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি অনেকটাই বেড়েছে। তবে অনেকে আবার বলছেন, আট থেকে আশি বছরের জন্য ফোন বিক্রির বার্তা দিয়ে এখন শাওমি ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কর্তা এহেন কথা বলছেন। যা তাঁর মুখে মানায় না। তবে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম যে চোখ ও মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলে, অতীতের গবেষণাতেও তা উঠে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.