সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুগটা ডিজিটাল যুগ। তার উপর মানুষের সময়ও গিয়েছে কমে। এই অবস্থায় বিয়ে, অন্নপ্রাশনের মতো অনুষ্ঠানের নেমন্তন্ন অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপে সারে আজকাল। ফোনে একবার জানিয়ে দেয় বটে। কিন্তু সুচিত্রিত নিমন্ত্রণপত্রটির ডিজিটাল কপিটি পৌঁছে দেয় হোয়াটসঅ্যাপের ঠিকানায়। আর সেটাকেই কাজে লাগাচ্ছে হ্যাকাররা। পাঠাচ্ছে বিয়ের ভুয়ো নেমন্তন্নের চিঠি। অচেনা নম্বর থেকে আসা ওই চিঠিটি থাকছে অ্যাটাচড ফাইল হিসেবেই। একবার ক্লিক করলেই… সর্বনাশ!
ব্যাপারটা ঠিক কী? সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের পুলিশ এই বিপদের কথা জানিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, নিমন্ত্রণপত্র সেজে বসে থাকা চিঠিটি ডাউনলোড করলেই একটি এপিকে ফাইল ডাউনলোড হয়ে যাবে ফোনে। আর সেটির সাহায্যেই নজরদারি চালাবে হ্যাকাররা। যে ব্যক্তির ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড হবে তাঁর সমস্ত কনট্যাক্টস চলে যাবে হ্যাকারদের জিম্মায়। ফলে তারা সেই সব নম্বরে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা ধার চাইতে পারেন। ফলে সেই ব্যক্তির অজান্তেই তাঁর নামে হ্যাকারদের টাকা ধার দিয়ে দিতে পারেন তাঁরই আত্মীয়রা! এছাড়াও অন্যান্য কারসাজি করেও আক্রান্তের টাকাপয়সা হাতিয়ে নিতেই পারে হ্যাকাররা। কেননা পুরো ডিভাইসটির নিয়ন্ত্রণই তো থাকবে তাদের হাতে। ফলে ব্যাঙ্কের অ্যাপ বা অন্য উৎসগুলিও নিরাপদ থাকবে না।
এই ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় কী? সোজা কথায়, সাবধানতা। হিমাচল প্রদেশের সাইবার পুলিশের তরফে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে আসা মেসেজ থেকে সাবধান। বিশেষ করে অচেনা নম্বর। তার উপর যদি তা হয় কোনও অ্যাটাচড ফাইল। সতর্ক থাকলেই এড়ানো যাবে বিপদ। অন্যথায় বিয়ের নেমন্তন্নের ভান করে আপনাকে সর্বস্বান্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে হ্যাকাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.