সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ করেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় রশ্মিকা মান্দানার বিকৃত ভিডিও। ইন্টারনেট দুনিয়ায় এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন খোদ রশ্মিকাও। এমনকী একই ঘটনার শিকার ক্যাটরিনা কাইফও। ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছে এই বিকৃত ভিডিও। কী এই ডিপফেক?
ডিপফেক হল একটি এআই প্রযুক্তি। যার মাধ্য়মে একজনের ভিডিওতে আরেকজন মুখ বা শরীরের যেকোনও অংশ খুব সহজেই পালটে ফেলা যায়। সেই ছবি বা ভিডিও দেখে আপাতভাবে বোঝাই যায় না এই ছবি বা ভিডিও আসল নয়, নকল। এমনকী, বদলে ফেলা যায় কণ্ঠস্বরও।
২০১৭ সালে রেডইট সোশাল মিডিয়ার হাত ধরে প্রথম প্রকাশ্য়ে আসে এই ডিপফেক প্রযুক্তি। যেখানে একবারে পালটে ফেলা হয়েছিল গাল গোডো, টেলর শিফট, স্কারলেট জহনসানের। আর তার পর থেকেই গোটা দুনিয়ায় সারা ফেলে এই ডিফফেক।
ডিপফেক যাঁরা তৈরি করেন তাঁরা টার্গেট করেন সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মকে। সেখান থেকেই মূলত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তার পর সেই তথ্য বিশ্লেষণ করতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সেই প্রযুক্তির সাহায্যে মুখের বৈশিষ্ট, অভিব্যক্তি, ভয়েস প্যাটার্ন এবং অন্যান্য ‘ইউনিক’ বৈশিষ্ট শনাক্ত করে এবং ম্যাপ তৈরি হয়। এভাবেই তৈরি হয় জাল বা বিকৃত ভিডিও বা ছবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.