অর্ণব আইচ: এ যেন এক এভারেস্ট বিজয়। ল্যাপটপের স্ক্রিনের সামনে একের পর এক শক্ত ধাপ আর বাধা। শেষ পর্যন্ত এগারোটি বাধা পেরিয়ে ‘এথিক্যাল হ্যাকিং’-এর চূড়ায় পৌঁছলেন দুই বাঙালি কলেজছাত্র মালদহের সৈয়দ মোদাস্সির ও উত্তর শহরতলির সোদপুরের দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বেসরকারি উদ্যোগে কলকাতা পুলিশ আয়োজিত এথিক্যাল হ্যাকিং প্রতিযোগিতা ‘হ্যাকাথন’-এ এই দুই বিজয়ীর হাতে দেড় লাখ টাকার পুরস্কার তুলে দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ হৃত্বিক লাল। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, তরুণ প্রতিভাদের খুঁজে বের করার জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। তাঁরা প্রয়োজনে পুলিশের তদন্তেও সাহায্য করতে পারবেন।
রাজ্য ও কলকাতা পুলিশও এদিন সন্ধান পেল দশটি টিমের ১৯ জন ‘হ্যাকিং’ প্রতিভাকে। বিজয়ী মোদাস্সির ও দেবজিৎ দু’জনই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। কর্মসূত্রেই পরিচয় দু’জনের। তাঁদের দাবি, সকাল সাড়ে ন’টা থেকে শুরুর পর ‘হ্যাকিং গেম’-এর একের পর এক ধাপ এগিয়ে যান তাঁরা। শেষ আধঘণ্টা ছিল খুবই চ্যালেঞ্জের। সময়মতো শেষ করে ১১০ স্কোর করেন তাঁরা। একই স্কোর করেছেন দ্বিতীয় বিজয়ী অবিনাশ। শুধু ধাপটি শেষ করতে তাঁর একটু বেশি সময় লেগেছে। ১০০ স্কোর করে তৃতীয় হয়েছেন সৌম্য মুখোপাধ্যায় ও সৌরভ কার্জি।
কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরি কুসুমাকার জানান, এই প্রথম কলকাতায় এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ৪০৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৩০ জন মহিলা ও ৬ জন স্কুলে ছাত্র। রয়েছেন ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধও। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটি অংশ এসেছে কেরল, দিল্লি, মুম্বই, ওড়িশা-সহ বিভিন্ন রাজ্য ও শহর থেকে। ডিজি মনোজ মালব্য জানান, সাইবার অপরাধ দমনে ও সাইবার সংক্রান্ত ভুল খুঁজতে এথিক্যাল হ্যাকারদেরই প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.