Advertisement
Advertisement

Breaking News

Twitter

অন্তর্বর্তীকালীন CCO নিয়োগ করেও মিলল না স্বস্তি, আইনি রক্ষাকবচ হারাল Twitter

এদিকে উত্তরপ্রদেশে টুইটারের বিরুদ্ধে দায়ের হল FIR।

Twitter to lose its status as intermediary platform in India due to non-compliance of new IT rules | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 16, 2021 11:05 am
  • Updated:June 16, 2021 11:25 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অব্যাহত কেন্দ্র সরকার ও টুইটারের (Twitter) বিবাদ। মঙ্গলবারই যেখানে মনে হয়েছিল, হয়তো যাবতীয় জট মিটতে চলেছে, সেখানে কেন্দ্র নতুন করে জানিয়ে দিল, টুইটার নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতির শর্ত পূরণ করছে না। আর সেই কারণেই এবার ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারাল মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় টুইটারকে আর আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না। কী এই রক্ষাকবচ? ভারতের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী প্ল্যাটফর্মের তকমা খোয়াল টুইটার। অর্থাৎ এই প্ল্যাটফর্মে যা কনটেন্ট টুইট করা হবে, সব দায় তাদেরই নিতে হবে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকের কথায়, এখন যদি কেউ টুইটারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন, তাহলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সুরক্ষা পাবে না মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার রাজ্যের নিজস্ব অ্যাপেই হবে করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন, কীভাবে স্লট বুক করবেন?]

মঙ্গলবারই টুইটারের তরফে এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সরকারের নয়া গাইডলাইন মেনে চলতে সবরকম প্রচেষ্টাই তাঁরা করছেন। এবং তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপের বিষয়েই কেন্দ্রকে জান‌াতে থাকবেন। এমনকী অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারও নিয়োগ করে ফেলে টুইটার। কিন্তু তাতেও রেহাই মিলল না। টুইটারের অবস্থানে যে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্র, সেটাই এবার স্পষ্ট হয়ে গেল। যদিও আইনি রক্ষাকবচ খোয়ানোর পরই টুইটারের মুখপাত্র বলেন, “আমরা প্রতিপদে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে সমস্ত বিষয়ের আপডেট দিচ্ছি। একজন অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারও রাখা হয়েছে। এনিয়ে সমস্ত বিস্তারিত তথ্যই দ্রুত কেন্দ্রকে জানানো হবে। নতুন নীতি মেনে চলার সবরকম প্রয়াস করছে টুইটার।” কিন্তু আপাতত রক্ষাকবচ খুইয়ে ভারতে বেশ বিপাকেই পড়ল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। ২৫ মে’র মধ্যে সেই নিয়মাবলি কার্যকর করার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু ২৫ মে’র পরও অনেক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এই নিয়মগুলি মানতে রাজি হয়নি। পরে কেন্দ্রর কড়া অবস্থানে ফেসবুক-সহ অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলি নয়া নীতি মেনে নিলেও হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এবং টুইটার বেঁকে বসে। তবে পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপ রাজি হলেও আপত্তি দেখায় টুইটার। দিন দশেক আগেই অবশ্য কেন্দ্রের ‘চূড়ান্ত’ নোটিসের পর সুর নরম হয়েছিল টুইটারের। নীতি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা। কিন্তু টুইটারের আচরণে যে কেন্দ্র খুশি নয়, তা এবার স্পষ্ট হয়ে গেল। ফলে জটিলতা আরও বাড়ল।

[আরও পড়ুন: গান গেয়ে পাকিস্তানে কুলফি বেচছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! ব্যাপারটা কী? দেখুন ভিডিও]

এদিকে, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাজের লোনিতে এক ব্যক্তিকে মারধর ও জোর করে দাড়ি কেটে দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে টুইটারে। যার জেরে টুইটার এবং ন’জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সব দেখেও টুইটার কোনও পদক্ষেপ না করাতেই FIR হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement