সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিনা যুক্তি’তে সাংবাদিকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। এবার তাঁর মালিকানাধীন সংস্থা ভারতের মাইক্রো ব্লগিং সাইট কু-এর উপর কোপ দেওয়ায় সেই বিতর্কে ঘি পড়ল। টুইটারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কু-এর সহ-কর্ণধার।
কু-এর দুই সহ-কর্ণধার ময়ঙ্ক বিদাওয়াটকা ও অপ্রমেয়া রাধাকৃষ্ণ নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার (Twitter) হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে জানান, এই প্ল্যাটফর্মে কু-এর যে অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টটি রয়েছে, তা সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কু-এর তরফে ওই পেজে আর কোনও টুইট করা যাচ্ছে না। কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এই প্রশ্নই তুলেছেন তাঁরা। রাধাকৃষ্ণ টুইট করেন, “কু-এর একটি হ্যান্ডেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন? কারণ আমরা টুইটারের প্রতিযোগী?” যে এলন মাস্ক বারবার বাক-স্বাধীনতা নিয়ে সুর চড়ান, তিনি কীভাবে এমন পদক্ষেপ করতে পারেন, সে প্রশ্নই তুলেছেন রাধাকৃষ্ণ।
One of the Koo handles on Twitter just got banned. For what?! Because we compete with Twitter? So? Mastodon also got blocked today. How is this free speech and what world are we living in?
What’s happening here @elonmusk? @katienotopoulos @tculpan @PranavDixit @aubreyhirsch pic.twitter.com/av5KkkBqsV
— Aprameya 🇮🇳 (@aprameya) December 16, 2022
ভারতীয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট কু-এ (Koo) অ্যাকাউন্ট খোলা কিংবা তা ব্যবহার সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন থাকে সেলিব্রিটি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যই সম্প্রতি টুইটারে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিল কু। কিন্তু হঠাৎই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার পিছনে কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না কু-এর সহ-কর্ণধার।
1. Posting publicly available info isn’t doxxing. Why shoot the messenger?
2. Journalists that posted links did nothing wrong. Posting a link to publicly available info isn’t doxxing the way posting a link to an online article isn’t plagiarism.— Mayank Bidawatka (@mayankbidawatka) December 16, 2022
উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ ওঠে মাস্কের বিরুদ্ধে। সঠিক কোনও কারণ ব্যাখ্যা না করেই একাধিক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করায় টুইটারকে একহাত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। শুধু তাই নয়, এলন মাস্কের সমস্যা বাড়িয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকিও দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে বিতর্ক দানা বাঁধতে শেষমেশ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় সংস্থা। সাংবাদিকের অ্যাকাউন্টের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে টুইটারের বিরুদ্ধে কু কোন পথে হাঁটে, এখন সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.