সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পথচলার সময় হঠাৎই রাস্তার ধারে চোখে পড়ল একটি অচেনা গাছ। গাছটির নাম কিংবা উপকারিতা কিছুই জানেন না। ভাবুন তো, মোবাইলের এক ক্লিকেই যদি সঙ্গে সঙ্গে সেই গাছ সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য পেয়ে যেতেন, কেমন হত? না, এ আর অলীক কল্পনা নয়। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন সত্যি-সত্যিই একলহমায় অচেনা গাছের নাম-পরিচয় পেয়ে যাবেন। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার সিদ্ধার্থ কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স।
পড়ুয়াদের গাছ চেনানোর অভিনব উপায় বের করেছে এই কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ। ভাবছেন তো কীভাবে? আসলে গাছের গায়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি করে QR কোড। স্মার্টফোনের QR কোড অ্যাপের মাধ্যমে সেটি স্ক্যান করে নিলেই গাছটি সম্পর্কে সব খুঁটিনাটি তথ্য পেয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে কলেজ চত্বরের QR কোড লাগানোর কাজ সেরে ফেলেছে কলেজ। এবার তারা চায়, কলেজের বাইরেও মগলরাজাপুরম এলাকার বিভিন্ন গাছে এই QR কোড সেঁটে দিতে। যাতে পথচলতিরাও সহজেই সব তথ্য পেয়ে যান।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান শ্রীনিবাস রেড্ডি বলছেন, অনেকেই সামনে একটা অচেনা গাছ দেখলে তার বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন। কিন্তু জানার উপায় থাকে না। এমনকী গুগলেও কী লিখে সার্চ করলে তা খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাও বুঝে উঠতে পারেন না। “বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেটের গায়ে আমরা QR কোড দেখতে পাই। সেটি স্ক্যান করলেই পণ্যটির বিষয়ে সব জানা যায়। ভাবলাম, একই প্রযুক্তি কলেজ ক্যাম্পাসের গাছগুলিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গাছের তথ্য তো আমাদের জানাই ছিল। শুধু QR কোড বসিয়ে সেটিকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে তুলি। QR কোড অ্যাপের মাধ্যমে সেটি স্ক্যান করলেই গাছটির বিজ্ঞানসম্মত নাম-প্রজাতি-সহ একগুচ্ছ তথ্য জানা যাবে।” বলেন শ্রীনিবাস।
কলেজ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। ফলে বোটানি বিভাগের পড়ুয়াদেরও গাছগুলি সম্পর্কে জানতে সুবিধা হয়। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ মগলরাজাপুরম এলাকার গাছগুলিতেও QR কোড বসাতে চায়। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিজয়ওয়াড়া পুরসভার সঙ্গে কথা বলেছে তারা। কলেজের এমন উদ্যোগ প্রশংসা কুড়োচ্ছে গোটা এলাকাবাসীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.