গৌতম ব্রহ্ম: পুজো না হয় টিভির পর্দায় দেখে নেবেন। দেবীর দর্শন কিংবা ঘরে বসে পুজো পরিক্রমা করাতে হরেক পোর্টালও মোবাইল, ল্যাপটপে মজুত। কিন্তু মায়ের ভোগ? সে তো আর ‘ভার্চুয়াল’ হবে না! তাহলে উপায়? ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। অ্যাপের দৌলতে এবার বাড়িতেই পৌঁছে যাবে মায়ের ভোগও। খরচ মাত্র ২১ টাকা।
দক্ষিণের ত্রিধারা সম্মিলনী হোক বা উত্তরের টালা বারোয়ারি, দক্ষিণ শহরতলির নাকতলা উদয়ন কিংবা উত্তরের হাতিবাগান সার্বজনীন। নিকটবর্তী মণ্ডপ থেকে ভোগ চলে আসবে বাড়িতে। কিছুদিনের মধ্যেই বুকিং শুরু হয়ে যাবে। এহেন অভিনব উদ্যোগের হোতা এক বঙ্গসন্তান। নাম দেব দত্ত। পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দেববাবু পুজোর ক’দিন রোজ সাতশো-আটশো বাড়িতে ভোগ পৌঁছনোর ছক কষেছেন। ইতিমধ্যে কলকাতার পনেরোটি বড় পুজো কমিটির সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তিও সারা। জানালেন, “ইচ্ছে থাকলেও অনেকে পুজোর সময় বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। বিশেষত সিনিয়র সিটিজেন ও অসুস্থেরা। তাঁদের কথা ভেবেই বাড়িতে ভোগ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা।”
কিন্তু এত যৎসামান্য মূল্য, মানে একুশ টাকা কেন? এবিষয়ে দেবের ব্যাখ্যা, “দেখুন, নিজের পকেটের পয়সাতেই আমার এই উদ্যোগ। চুক্তিবদ্ধ পুজো কমিটিগুলো প্রত্যেকে একশো প্যাকেট ভোগ হোম ডেলিভারির জন্য দেবে। তাদেরও হাতে কিছু দিতে হবে। ডেলিভারি বয়দেরও দিতে হবে। বিনে পয়সায় দিলে কিছুরই গুরুত্ব থাকে না। এই একুশ টাকাটা নিছক প্রতীকী।”
ইতিমধ্যে দেবের সংস্থা দক্ষিণ কলকাতার দু’শোর বেশি রেস্তোরাঁ ও ফুড জয়েন্টের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাদের খাবার এখন দেবের তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। তবে পুজোর ভোগ এই প্রথম। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এমবিএ। তারপর কিছুদিন একটি বড় সফটওয়্যার সংস্থায় চাকরি। দেব ব্যবসা শুরু করেন বছর ছয়েক আগে। অনেকদিন ধরেই রেস্তোরাঁ ও রিটেল ব্যবসার ‘সফটওয়্যার সলিউশন’ বানাচ্ছেন। এবার অ্যাপ। যা করোনাকালে প্রসাদ পৌঁছে দেবে ঘরে ঘরে। ‘আগে এলে আগে পাবে’ নীতির ভিত্তিতে বুকিং নেওয়া হবে। “সব মিলিয়ে দু’হাজার মানুষের কাছে ভোগ পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছি। (Durga Puja 2020) পুজোর দু’দিন আগে পর্যন্ত বুকিং নেওয়া হবে”, জানালেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.