সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে মদ না পেয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব তুলেছিলেন সুরাপ্রেমীরা। অবশেষে দীর্ঘদিন পর খুলেছে মদের দোকান। কিন্তু সেখানে লম্বা লাইন। কোনও কোনও সময় লকডাউনের বিধি মেনে না চলার অভিযোগও সামনে এসেছে। বাইরে বেরলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু মদ্যপানের নেশা কি আচমকা ছেড়ে দেওয়া যায়? তাই তো বুদ্ধি খাটিয়ে অন্য পন্থার বন্দোবস্ত করলেন এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। যা দেখে অবাক হচ্ছেন প্রায় সকলেই।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তবে শর্ত একটাই বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। কিন্তু সেকথা শুনছে কজন? তাই তো দোকান, বাজার থেকে মদের দোকান সর্বত্রই প্রায় ভিড়ে ঠাসা। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে করোনামুক্ত রেখে কেনাকাটি কীভাবে করা যায়, সেই ব্যবস্থাই করলেন তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের কার্তিক ভেলায়ুত্থাম। অনেক ভাবনাচিন্তার পর দু’দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি বানিয়ে ফেলেন একটি রোবট। এই রোবট তৈরি করতে একটি কার্ডবোর্ডের বাক্স এবং চার চাকাযুক্ত কাঠের পাটাতন নেন তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার জানান, “ওই রোবটে তৈরিতে তিনি এমন প্রযুক্তির সাহায্য নেন যাতে এবড়োখেবড়ো রাস্তা দিয়েও খুব সহজে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে সেটি। তাঁর স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ওই রোবটের ডিভাইস। যার ফলে ভিডিও কলের মাধ্যমে রোবটকে বাজার, দোকানে পাঠিয়ে সমস্ত কাজ সেরে নিতে পারবেন তামিলনাড়ুর ওই ইঞ্জিনিয়ার। প্রায় ৫০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত জিনিসপত্র বহনের ক্ষমতা রয়েছে রোবটের। টাকাপয়সা আদানপ্রদান নিয়ে এবার নিশ্চয়ই ভাবছেন? তবে ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, প্রতারিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ এই রোবটের মাধ্যমে কেনাকাটি করা সামগ্রীর জন্য টাকা দেওয়া যাবে শুধুমাত্র অনলাইনে। তাই বাড়ি বসে আপনি নিজেই কিনতে পারবেন অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র।
কার্তিক বলেন, “আমি পরীক্ষামূলকভাবে মদের দোকানে রোবটকে পাঠিয়েছিলাম। দেখলাম দিব্যি আমার প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে এসেছে রোবট। তার ফলে আমাকে বাড়ির বাইরে বেরতে হল না। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও এড়ানো গেল অনেকটাই।” তাঁর দাবি, কেনাকাটি এমনকী খাবারদাবার অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রেও যদি এই রোবটের সাহায্য নেওয়া হয় তবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.