সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ক্লাসে বসে পড়া হোক কিংবা অনলাইনে – ফাঁকিবাজের দল সবেতেই ফাঁকি দেবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ ঠিক খুঁজে নেয় তারা। এই লকডাউনের দীর্ঘ সময়ে সেটাই প্রমাণিত হল ফের। বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নতুন ক্লাস শুরু করতে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পাশাপাশি সরকারি অনেক স্কুলও অনলাইনে পঠনপাঠন চালু করেছে। কিন্তু তাতেও অনেক পড়ুয়া ক্লাসে ফাঁকি দিচ্ছে। মোবাইলে অনলাইন ক্লাসে যোগ দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকছে। পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে কেউ হয়তো মোবাইলে গেম খেলছে। কেউ বা অন্য কিছু করছে।
দিন কয়েক অনলাইন ক্লাস নেওয়ার পর এমনই তথ্য হাতে এসেছে অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষের। নজরদারিতে ধরা পড়েছে, পড়ুয়ারা অনেকেই স্কুলের দেওয়া ভিডিও, অডিও পুরোটা শুনছে না। তাই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই অভিভাবকদের সচেতন করার পরিকল্পনা নিলেন স্কুলের প্রধানরা। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছে, ইন্টারনেট রেকর্ড থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পারছেন, ছাত্রছাত্রীরা তাদের ক্লাসের অডিও ও ভিডিওগুলো সম্পূর্ণটা দেখছে বা শুনছে না।
এ বিষয়ে সন্তানদের উপর অভিভাবকরা যাতে নজর দেন, সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের অনলাইন ক্লাস চালুর সময় ফোনটা দিচ্ছেন। তারপর হয়তো ঘরের অন্য কাজে ব্যস্ত থাকছেন অভিভাবকরা। আর সেই সুযোগে পড়ুয়ারা ক্লাস ফাঁকি দিচ্ছে।
অন্য কয়েকটি স্কুলের প্রধানরাও জানাচ্ছেন, অনলাইন ক্লাস চলার সময় পড়ুয়াদের উপর নজর রাখা প্রয়োজন। পড়ুয়ারা অমনোযোগী হয়ে উঠতে পারে অনলাইন ক্লাস চলার সময়। সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়া প্রয়োজন। তাঁদের ছেলেমেয়েরা ঠিকভাবে ক্লাস করছে কি না, তা দেখা প্রয়োজন। বাচ্চারা এখন অ্যান্ড্রয়েড ফোন অভ্যস্ত। হাতে মোবাইল পেয়ে অনলাইন ক্লাস মোড অন করে গেমও খেলতে পারে। তাই নজর রাখুন অভিভাবকরা। যাতে এই কঠিন সময়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনার পিছিয়ে পড়া আটকাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের অনলাইনে ক্লাস করানোর উদ্যোগ সফল হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.