Advertisement
Advertisement
Technology

হাতে ব্যান্ড পরলেই জব্দ ইভটিজার! নারীসুরক্ষায় অভিনব যন্ত্র আবিষ্কার বাংলার ছাত্রের

দুর্গাপুরের বি-টেক ছাত্র আবির ঘোষের নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে।

Purba Bardhaman engineering student invents new band for women safety | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 23, 2022 7:18 pm
  • Updated:June 23, 2022 8:50 pm  

অর্ক দে, বর্ধমান: মহিলা সুরক্ষায় (Women security) হাজারও গলদ ভাবিয়ে তুলেছিল তাঁকে। সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছিল। আর তারপর অভিনব যন্ত্র বানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে নিলেন পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) বরশুলের যুবক আবির ঘোষ। তাঁর তৈরি যন্ত্র ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ২০২৩-এ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে অভিনব উদ্ভাবনের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।

যন্ত্রের আবিষ্কর্তা বি টেকের ছাত্র আবির ঘোষ।

আবির দুর্গাপুর কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে বি-টেকের (B Tech) প্রথম বর্ষের ছাত্র। ‘ইনোভেটিভ উইমেন সেফটি ব্যান্ড ডিভাইস – ডিজাইন বাই এ টিন’, এই বিভাগে সারা দেশের মধ্যে আবিরের তৈরি এই যন্ত্রটি বাছাই করে নেওয়া হয়েছে। কী এমন যন্ত্র এটি, যা মহিলাদের সুরক্ষায় কাজ দেবে? কী কাজেই বা লাগবে যন্ত্রটি? আবির জানিয়েছেন, এই যন্ত্রটি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মহিলাদের সুরক্ষায় সম্পূর্ণভাবে কার্যকরী হবে। সহজেই হাতে পরে নেওয়া যাবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার জন্য ৯ টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই যন্ত্রটিতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গের অভিযোগ, এবার নূপুর শর্মাকে তলব আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার]

যন্ত্রটির মাধ্যমে বিপদের সময় নিকটজন ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে সংকেতবার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, যন্ত্রটিতে রয়েছে প্রায় ২০০০ ভোল্টের ইলেকট্রিক শক দেওয়ার ক্ষমতা। যা বিপদের সময় আততায়ীকে ঠেকাতে কাজে লাগতে পারে। এছাড়া, যন্ত্রটিতে লেজার লাইট, ক্যামেরা, অটোমেটিক কলিংয়ের সুবিধা রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করা সম্ভব হবে। যন্ত্রটিতে থাকা জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত মহিলার সঠিক অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে। বর্ধমানের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মহিলাদের সুরক্ষায় তৈরি এই অভিনব যন্ত্রটি ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদেও মুখ্যমন্ত্রী! রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার বিল পাশ বিধানসভায়]

আবির জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে দিল্লিতে এক মহিলার উপর নির্যাতনের খবর পড়েছিলেন তিনি। সেই থেকেই মহিলাদের সুরক্ষায় এই যন্ত্র বানানোর চিন্তা মাথায় আসে। তারপর থেকে অক্লান্ত চেষ্টায় যন্ত্রটি তৈরির কাজ শুরু করে সে। যন্ত্রটি তৈরি করতে গিয়ে ভুলত্রুটির জন্য বিকল হয়ে যাওয়ায় মাঝপথে কাজ থমকে যায়। এছাড়া, প্রথমদিকে সফটওয়্যারের কাজ জানা না থাকায় নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। শেষমেশ ২০২২ সালে যন্ত্রটি তৈরির কাজ শেষ হয়। তারপর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের (India Book of Records) জন্য পাঠান আবির। সেখান থেকে মেল করে তাঁকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। এই খবরে খুশি দুর্গাপুরের ছাত্র।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement