Advertisement
Advertisement

Breaking News

সরকারি লাইব্রেরি

পাঠকদের জন্য সুখবর, সরকারি লাইব্রেরিতে এক ক্লিকেই মিলবে বইয়ের হাল-হদিশ

গবেষকরাও যথেষ্ট উপকৃত হবেন বলে আশা কর্তাদের।

Now you can get all the information of library by one click
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 14, 2019 9:46 pm
  • Updated:October 14, 2019 9:46 pm  

সন্দীপ চক্রবর্তী: কম্পিউটারের মাউসে একটা ক্লিকের অপেক্ষা। লহমায় খুলে যাবে জ্ঞানভাণ্ডারের দরজা। রাজ্য সরকারি গ্রন্থাগারের সমগ্র তথ্যভাণ্ডার আমজনতার হাতের নাগালে আনতে এমনই ব্যবস্থা হতে চলেছে। নতুন প্রক্রিয়ায় যে কোনও সরকারি গ্রন্থাগারে তোলা বই অন্য যে কোনও সরকারি লাইব্রেরিতে জমাও দেওয়া যাবে। সুশৃঙ্খল কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রাজ্যের সমস্ত সরকারি গ্রন্থাগারকে এভাবে জুড়ে দেওয়ার ফলে শুধু সাধারণ পাঠক নয়, গবেষকরাও যথেষ্ট উপকৃত হবেন বলে কর্তাদের আশা।

আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দপ্তরের এই উদ্যোগ চালু হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৩২টি সরকারি লাইব্রেরির অন্তত ২৫টিতে ইতিমধ্যে নতুন বন্দোবস্ত বলবৎ হয়েছে। উৎসবের মরশুম শেষ হলে সমস্ত জেলা সদরের প্রধান গ্রন্থাগারগুলি কম্পিউটার শৃঙ্খলে বাঁধা পড়বে। সেক্ষেত্রে জেলার কোন লাইব্রেরিতে কী কী বই রয়েছে, অনলাইনে তা জানা যাবে। গবেষকরা অল্প সময়ে জেনে নিতে পারবেন, প্রয়োজনীয় কী কী তথ্য তাঁরা আহরণ করতে পারবেন। মোট ৭৯৬টি লাইব্রেরিকে ‘ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক’-এর আওতায় যুক্ত করা হচ্ছে। ৩৪ হাজারের বেশি বইকে ‘ডিজিটাল আর্কাইভ’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: হাতিয়ার অ্যাপ, প্রচারের নামে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিচ্ছে চিন!]

গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নানা সময়ে কিংবদন্তি ব্যক্তিরা সদর্থক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু ডিজিটাল যুগে বই পড়ার আগ্রহ কমছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। সেই কারণে রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুলাহ চৌধুরি গ্রন্থাগারগুলিতেও কম্পিউটার রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাজ্যের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে সম্প্রতি এই ব্যবস্থা চালু হয়। গ্রন্থাগারিক নিজে পাঠককে এ ব্যাপারে সাহায্য করছেন। তবে পাঠককে অবশ্যই গ্রন্থাগারের সদস্য হতে হবে। স্ক্রিনে কোনও বইয়ের নাম বা লেখকের নাম বা বিষয় লিখে ক্লিক করলেই বিস্তারিত তথ্য ভেসে উঠছে। কোনও লাইব্রেরিতে বসেই সেই ব্যক্তি মেম্বারশিপ তথ্য জানালে বইটি হাতে পেতে পারবেন। দূরের কোনও লাইব্রেরিতে বইটি থাকলেও তিনি যাতায়াতের সুবিধায় অন্য কোনও পাঠাগারে গিয়ে বইটি জমা দিতে পারবেন। এর ফলে পাঠকের কোনওরকম ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হবে না। সব ‘ঝামেলা’ই নেবেন সরকারি কর্মীরা। এভাবে পাঠকের বই পড়ায় আগ্রহ অনেকটাই বাড়বে বলে দপ্তরের আধিকারিকদের আশা।

Advertisement

কম্পিউটার বিষয়ে জ্ঞানের জন্য গ্রন্থাগারিকদের প্রশিক্ষণের কাজও হয়েছে। উল্টোডাঙার রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে একটি স্থায়ী কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়া হয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর। এছাড়াও সব গ্রন্থাগারে শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা-প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে। এজন্য অর্থ বরাদ্দও করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: Jio’র কল চার্জে সুদিন ভোডাফোন-এয়ারটেলের, দর বাড়ছে শেয়ারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement