সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা রোগীদের ভরতির হয়রানি বন্ধে এবং দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে একটি নয়া পোর্টাল চালু করছে রাজ্য সরকার। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বেড, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, সেফ হোম এবং পরিষেবার যাবতীয় তথ্য থাকবে ওই ‘কমন পোর্টালে’। কেউ অসুস্থ হলেই যাতে সহজে বাড়ির কাছাকাছি ভরতি হয়ে চিকিৎসা শুরু করাতে পারেন সেটাই মূল লক্ষ্য। মঙ্গলবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই নয়া পোর্টালের কথা জানান।
মৃদু সংক্রমিত ও উপসর্গহীন সচ্ছল রোগীদের বেডের ব্যবস্থা করতে বেসরকারি হাসপাতালের মতোই রাজ্যে এবার ‘পেড সেফ হোম’ চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। বেসরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না বলে যে অভিযোগ উঠছে তা নিরসনে সরকার ‘স্যাটেলাইট হাসপাতাল’ চালু করতে চাইছে। এই হাসপাতালে অর্থের বিনিময়ে সম্পন্নরা যেমন ভরতি হতে পারবেন তেমনই আক্রান্তরা চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ, তা দূর করতেই সরকারের এই পরিকল্পনা। এদিকে পুরসভার কন্ট্রোলরুমে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া নিশ্চিত করতে কাউন্সিলর, বিধায়ক ও ক্লাবের পড়ে থাকা গাড়িগুলি অধিগ্রহণ করবে পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার করোনা সংক্রান্ত নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পাওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম পুরভবনে এসে দীর্ঘ বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব। কথা বলেন মুখ্যপ্রশাসক পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সিনিয়র পুলিশ অফিসার এবং পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের শীর্ষ অফিসারদের সঙ্গেও। কনটেনমেন্ট জোনে কড়া নজরদারি বা পুরসভা ও লালবাজারের কন্ট্রোলরুমকে কীভাবে করোনা মোকাবিলায় আরও ব্যবহার করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, “করোনা রুখতে প্রকাশ্য জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থেকে নাগরিকদের কিছু আচরণ ও ব্যবহার নিয়ে কথা হল। শহরে ‘সেফ হোম’ ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন সেন্টার আরও বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
পুরসভা সূত্রে খবর, বাজারের ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে দিয়ে আরও কড়া নজরদারি চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে পুরভবনেও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মুখ্যপ্রশাসক ও কমিশনারের ঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি নিয়ম চালু হয়েছে। একমাত্র প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ছাড়া কেউই দুই ঘরে ঢুকতে পারছেন না। এমনকী, কাউন্সিলররাও ওই ঘরে প্রবেশ করতে পারছেন না। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরাও সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ চালু করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.