সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন? আবার শহরের এবড়োখেবড়ো রাস্তার কথা মনে পড়ায় একটু কি দ্বন্দ্ব হচ্ছে? মনে হচ্ছে, রাস্তায় বেরোলেই নতুন গাড়ির দফারফা হবে? তাহলে বলি, আপনার টেনশন এক ফুঁ-য়ে উড়িয়ে দেওয়ার উপায় হাজির। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে যান। অতি বিখ্যাত কোরীয় সংস্থা হুন্ডাই নিয়ে আসছে পায়ে হাঁটা গাড়ি। কী মনে হচ্ছে? গাড়ি যদি হাঁটে, তাহলে চলবে কখন? দাঁড়ান, প্রযুক্তিটাই তো বলা হয়নি।
হুন্ডাইয়ের নতুন গাড়ির পরিকল্পনা খুব সহজ যুক্তির উপর দাঁড়িয়ে। ধরুন, কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোনও এলাকা। বাড়িঘর ভেঙেচুরে একাক্কার। রাস্তায় ধ্বংসস্তূপ। সেখানে গাড়ি চালিয়ে আর কতদূরই বা যেতে পারবেন? যেতে চাইলেও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা। সেখানেই কাজে লাগবে হুন্ডাইয়ের নতুন ওয়াকিং কারের এই প্রযুক্তি। বিপদ বুঝলে গাড়ির স্টিয়ারিং বন্ধ করে দিন। ধীরে ধীরে দু’দিক থেকে নেমে আসবে ছোট ছোট চাকাযুক্ত দুটি দাঁড়া। মাটি থেকে অন্তত ৫ ফুট উঁচুতে উঠে যাবে গাড়ি। এরপর এগোবে ওই স্বয়ংক্রিয় পায়ের সাহায্যে, ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার গতিতে। অসমান জমির ওপর দিয়ে ধীরে ধীরে চলবে গাড়ি। সাহায্য করবে উদ্ধারকাজেও।
[বাজারে আসছে শাওমির নোট সেভেন!]
গাড়ির জগতে হুন্ডাই স্বনামধন্য একটি সংস্থা। সবসময়েই নিজেদের তৈরি গাড়িতে কিছু অভিনবত্ব রাখতে তৎপর তারা। সেভাবেই মাথায় এসেছিল পায়ে হাঁটা গাড়ির ভাবনা। চাকার বাইরে আরও কিছু – এই প্রকল্পের দিকে এগোচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন হুন্ডাইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন সু। তাঁর কথায়, ‘সুনামি বা ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে উদ্ধারকাজে গাড়ি খুব প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। এখনকার গাড়িগুলো একেবারে দুর্ঘটনাস্থল পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। কিন্তু নতুন গাড়িটি স্বয়ংক্রিয় পায়ের সাহায্যে একেবারে ধ্বংসস্তূপ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে। সেখান থেকে কাউকে উদ্ধার করে সরাসরি গাড়িতে তোলা সম্ভব। তবে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এধরনের গাড়ি তৈরি এখনও বেশ খানিকটা সময়ের ব্যাপার, তাও মানছেন সু। শুধুমাত্র পথেঘাটে চলাফেরার সুবিধার জন্যই গাড়ির ব্যবহার নয়। জরুরি ভিত্তিতেও গাড়িকে কতটা উপযোগী করে তোলা যায়, আপাতত সেদিকে মনোযোগ দিয়েই ওয়াকিং কার তৈরিতে মেতেছে হুন্ডাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.