সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকে হারাতে লকডাউনে বাড়ির বাইরে পা রাখার উপায় নেই। দিনের পর দিন বাড়িতে বসে অতীষ্ঠ খুদেরা। স্কুল, টিউশন, সঙ্গী-সাথী, খেলার মাঠ- সবই এখন কল্পকাহিনী। সঙ্গী বলতে বই-খাতা, টিভি আর মা-বাবার স্মার্টফোনটি। আর বাচ্চাদের এই অনলাইন গেমের নেশাই হয়ে উঠল সর্বনাশা। খুদেদের খেলার সুযোগকে কাজে লাগিয়েই কোটি কোটি ইউজারের অ্যাকাউন্টের নাম, পাসওয়ার্ড ফাঁস করল হ্যাকাররা।
একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বাচ্চাদের অনলাইন গেম Webkinz World-ই সমস্যায় ফেলেছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের। ২০০৫ সালের এপ্রিলে আত্মপ্রকাশ ঘটায় গেমটি। কয়েকদিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে রঙিন এই গেম। লকডাউনের আবহে ফের ঘুরে এসেছে সেই গেম। বাড়ি বসে সময় পেলেই Webkinz World খেলছে কচিকাঁচারা। আর তাতেই ঘটেছে বিপদ। এক হ্যাকার নাকি ইতিমধ্যেই দুই কোটি ৩০ লক্ষ ইউজারের পাসওয়ার্ড ফাঁস করে ফেলেছে। একটি এক জিবির ফাইল বানানো হয়েছে। যেখানে সমস্ত ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড গচ্ছিত করে রাখা আছে। অনলাইনেও ছড়িয়ে পড়েছে হাজারো পাসওয়ার্ড। ইতিমধ্যেই এই গেম প্রস্তুতকারক কানাডিয়ান কোম্পানিটির কানে পৌঁছেছে এমন চাঞ্চল্যকর খবর। কিন্তু তারাও এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারেনি।
অন্যান্য অনলাইন গেমের মতো অনেকেই এই গেমটির জন্যও অনলাইনে অর্থ ব্যয় করে। নতুন নতুন ফিচার গেমে যোগ করার জন্য কিছু কেনার প্রয়োজন হলে গেমিং অ্যাপটিতে থাকা আলাদা অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা দিতে হবে। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, লেনদেনের ক্ষেত্রে Webkinz কোনও ইউজারের শেষ নাম, ফোন নম্বর কিংবা ঠিকানা জিজ্ঞেস করে না। পুরোটাই ই-স্টোর থেকে হয়। এর জন্য আলাদা সার্ভার ও অ্যাকাউন্ট থাকে। যা Webkinz নিজে থেকেও ব্যবহার করতে পারে না। তাই সেই পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হলেও অ্যাকাউন্টে কত অর্থ আছে জানা সম্ভব নয়।
তবে শুধু লকডাউন পর্বেই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল হ্যাকিংয়ের প্রক্রিয়া। সমস্যা মেটাতে সাত বছর ধরে অচল থাকা অ্যাকাউন্টগুলি ডিলিট করে দিচ্ছে কোম্পানি। সেই সঙ্গে অ্যাকাউন্টের নাম আর পাসওয়ার্ড সেভ করে না রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব ঠিক করার চেষ্টা করছে কানাডার সংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.