সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাথায় প্রচুর চাপ। একগাদা দায়িত্ব সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতি টুইটারের (Twitter) সিইও পদ ছেড়ে নতুন সিইও নিয়োগের পথে হেঁটেছেন ধনকুবের এলন মাস্ক (Elon Musk)। শুক্রবারই তিনি ঘোষণা করেন, টুইটারের জন্য নতুন সিইও নিয়োগ করা হবে। তিনি আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করবেন। আর তাঁর এই ঘোষণার পর শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। কে এই নতুন সিইও (CEO)? সংস্থাকে ব্যবসায়িক লাভের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে এক মহিলাকেই দায়িত্ব দিচ্ছেন মাস্ক। তা বোঝা গিয়েছিল আগেই। লিন্ডা ইয়াসারিনো (Linda Yaccarino) নামে মার্কিন মহিলা টুইটারের নতুন সিইও হচ্ছেন। কে এই লিন্ডা? জানা যাচ্ছে, তিনি মার্কিন বিজ্ঞাপন (Adevretisement) জগতকে বদলে দেওয়া এক ব্যক্তিত্ব। মিডিয়া ব্যবসার নানা ক্ষেত্রে লিন্ডার অবদান ঢের।
বছর ষাটের লিন্ডা নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। স্বামী, দুই ছেলেকে নিয়ে নিউ ইয়র্কের সি ক্লিফে বসবাস। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (World Economic Forum) টাস্ক ফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন এই মুহূর্তে। তবে লিন্ডার দীর্ঘ কেরিয়ার সাফল্যে মোড়া। আমেরিকার একাধিক বড় বাণিজ্যিক সংস্থার দায়িত্ব সামলেছেন লিন্ডা। টারনার ব্রডকাস্টিং সিস্টেমে (Turner Broadcasting System) তাঁর দীর্ঘ ১৫ বছরের কেরিয়ার। ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করে সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন লিন্ডা।
২০১১ সালে এনবিসি ইউনির্ভাসাল (NBC Universal)সংস্থায় যোগদানের পর প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন জগতেও স্বকীয়তার ছাপ রেখেছেন লিন্ডা ইয়াসারিনো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমূল বদল এনেছিলেন। বাজার ধরার কৌশল অর্থাৎ মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিতে অনবদ্য সব পরিকল্পনা ছকেন তিনি। বলা হচ্ছে, তাঁর হাত ধরে এসব বদল আসার পরই সংস্থার আয় হাজার কোটি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এহেন এক নারীকে টুইটারের সিইও-র দায়িত্বে আনার খবরে খুশি কর্মীরা। এমনকী মাস্কের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন অন্যান্য বড় সংস্থার বড় কর্তারাও।
এক বিজ্ঞাপন সংস্থার ডিরেক্টরের মতে, লিন্ডা হচ্ছেন বিপণন জগতের নেত্রীর মতো। তিনি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেই অব্যর্থভাবে বুঝতে পারেন বাজার কী চাইছে। আরেকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সংস্থাকে আরও ভাল করে তুলতে যা করার, ঠিক সেটাই করেন লিন্ডা। আশা করা যায়, টুইটার প্ল্যাটফর্মটিকে মানুষ কীভাবে চাইছে, তা ঠিকই বুঝে সেইমতো পদক্ষেপ করবেন তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন জগতের চাহিদাও বুঝবেন। এখন দেখার বিষয় এটাই যে লিন্ডা ইয়াসারিনো টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমূল সংস্কারের পথে হাঁটবেন নাকি মাস্কের মতো চিরাচরিত নিয়ম মেনেই কাজ চালাবেন।