অর্ণব আইচ: পাসপোর্ট আবেদনকারীর ঠিকানায় গিয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশ তথ্য যাচাই করলে তবেই তা নথিভুক্ত হবে। পাসপোর্ট যাচাইয়ের জন্য নতুন অ্যাপে থাকছে এরকমই বিশেষত্ব। প্রত্যেকটি থানার পাসপোর্ট অফিসার ও কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের আধিকারিকদের ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে লালবাজার। পাসপোর্ট যাচাইয়ে নতুন অ্যাপ আনছে কলকাতা পুলিশ। ওই অ্যাপের মাধ্যমেই পাসপোর্ট আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা পুলিশ যাচাই করবে।
সম্প্রতি লালবাজারে পুলিশ কমিশনার জানান, পাসপোর্ট যাচাইয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তার জন্য কলকাতা পুলিশের ক্ষেত্রে কীভাবে পাসপোর্ট যাচাই করা হচ্ছে, প্রত্যেক ডিভিশনের ডিসি ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনাররা বিষয়টির উপর নজরদারি করবেন। কয়েক বছর আগে পাসপোর্টের তথ্য যাচাইয়ের জন্য থানা ও আধিকারিকদের হাতে ট্যাব দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে একটি বিশেষ পোর্টাল ব্যবহার করে পুলিশ।
পাসপোর্ট অফিস থেকে তথ্য সরাসরি চলে আসে কলকাতা পুলিশের পোর্টালে। কখনও বা আধিকারিকরা আবেদনকারীর ঠিকানায় যান। আবার কখনও বা আবেদনকারীকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তথ্য যাচাই করেন পুলিশ আধিকারিকরা। আবেদনকারীর হাতে থাকা তাঁর পরিচয়পত্র, তাঁর মা ও বাবার কয়েকটি পরিচয়পত্রও যাচাই করার পর ওই ট্যাবের মাধ্যমেই ছবি তোলা হয়। ট্যাবে আবেদনকারীরও ছবি তোলা হয়। এরপর ওই ছবিগুলিই আপলোড করে দেওয়া হয় পোর্টালে। সম্প্রতি কলকাতা ও তার আশপাশের অঞ্চল থেকে ধরা পড়েছে জাল পাসপোর্ট চক্রের মাথারা। আবার কলকাতা থেকে ধৃত বাংলাদেশির কাছ থেকেও উদ্ধার হয়েছে জাল পাসপোর্ট। দেখা গিয়েছে, ভুয়া ঠিকানায় জাল পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষে পাসপোর্ট আবেদনকারীর ঠিকানা ও তথ্য বিশেষ যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এবার পাসপোর্টের তথ্য যাচাইয়ের জন্য কলকাতা পুলিশের নতুন অ্যাপে বেশ কিছু বিশেষত্ব থাকছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, এই অ্যাপে আবেদনকারীর নম্বর ও নাম দিলে নথি তৈরির মেসেজ দেওয়া হবে। তখন যে নথিগুলি অ্যাপের পক্ষ থেকে চাওয়া হবে, সেগুলি দিতে হবে। ওই তথ্যগুলি যাচাই করারও ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়াও থানা বা অন্য কোথাও নয়, আবেদনকারীর ঠিকানায় গিয়ে যাতে আধিকারিকরা তথ্য যাচাই করেন, সেই ব্যাপারেও লালবাজার কড়া হচ্ছে। অ্যাপের মাধ্যমে জিপিএসে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ দেখানো হবে। তার মাধ্যমেই বোঝানো হবে যে, কোনও জায়গা বা লোকেশনে দাঁড়িয়ে আছেন ওই আধিকারিক। ওই লোকেশন জানানোর পর তবেই তথ্যগুলি আপলোড করা যাবে। তার মাধ্যমেই নজরদারির দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্তারা নিশ্চিত হবেন যে, ওই আধিকারিক আবেদনকারীর বাড়িতে রয়েছেন। প্রশিক্ষণের শেষে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.