ছিঃ! এত প্রতিবাদের মাঝেই নেটদুনিয়ায় চলছে ‘জর্জ ফ্লয়েড চ্যালেঞ্জ’, মরণ ফাঁদে পড়ুয়ারা

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরণ ফাঁদে স্কুল পড়ুয়া। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেদার চলছে ‘জর্জ ফ্লয়েড চ্যালেঞ্জ’। শুধু তাই নয়, বন্ধুদের সঙ্গে যেমন তারা এই খেলায় মেতে উঠেছে। তেমনই এই চ্যালেঞ্জ নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বানও জানাচ্ছে বন্ধুদের। একদিকে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে মার্কিন মুলুক যখন জ্বলছে, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কিন যুবসম্প্রদায়ের এই মরণ চ্যালেঞ্জ দেখে রীতিমতো হতবাক নেটিজেনরা। বলছেন ‘অমানবিক’!

তবে চিন্তার বিষয়, দেশের যুবসম্প্রদায় যদি শ্রেণিবৈষম্য কিংবা বর্ণবৈষম্যের মতো গুরুতর বিষয়গুলি নিয়ে বালখিল্যতায় মজে ওঠে, তাহলে কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর এর বড়সড় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে! এমন উদ্বেগও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে নেটিজেনদের একাংশকে।

কথাতেই আছে, শিশুদের মন সাদা কাগজের মতো। কৈশোরের সময়ই তাদের চারিত্রিক গঠনের মূল ভিত্তি তৈরি হয়। তাই ‘জর্জ ফ্লয়েড চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মার্কিন মুলুকের বাবা-মায়েরা। তাদের কথায়, জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনা কতটা ঘৃণ্যভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই চ্যালেঞ্জ দেখলেই বোঝা যায়।

[আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যে মেগা ডিল! জিও-তে ৯,০৯৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে আবুধাবির Mubadala]

কী এই ‘জর্জ ফ্লয়েড চ্যালেঞ্জ’? পড়ুয়াদের দেখা গিয়েছে হাঁটু মুড়ে অপর বন্ধুর ওপর বসতে। শুধু তাই নয়, ওই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে তাঁরা। হ্যাশট্যাগে লেখা ‘জর্জ ফ্লয়েড চ্যালেঞ্জ’। ইতিমধ্যেই হ্যাশট্যাগ নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম। মার্কিন মুলুকের বেথেল হাইস্কুলের এক রেসলার কোচই এই চ্যালেঞ্জ শুরু করেছিলেন প্রথমে। তাঁকে পরবর্তীতে স্কুল থেকে অপসারিত করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

SOMEONE JUST STARTED A GEORGE FLOYD CHALLENGE THAT ENCOURAGES YOU TO PUT THE CHEAPEST BLACK MAKEUP YOU HAVE ON YOUR FACE ALONG WITH A SIGN THAT SAYS “I CANT BREATHE”

THIS IS SO WRONG ON SO MANY LEVELS!! PLEASE TELL EVERYONE NOT TO DO SO!!!!!

— Jared ᴮᴸᴹ :击: CEO of Disenchanted (@Hxpeisnil_) June 2, 2020

‘Not dead yet.’
BETHEL SCHOOL DISTRICT INVESTIGATES AFTER WRESTLING COACH’S POSTS APPEAR TO MOCK GEORGE FLOYD.
‘Not dead yet.’ Wrestling coach Dave Hollenbeck came under fire for a post that appears to make light of George Floyd’s death: @KING5Seattle https://t.co/k8PXUmPO5m pic.twitter.com/c963awu3Fs

— Shomari Stone (@shomaristone) May 28, 2020

[আরও পড়ুন: ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যে ‘নজরদারি’! Google-এর বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা]