সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতের মুঠোয় চলে এসেছে দুনিয়া। এখন ব্যাংকের (Bank) কাজকর্মের সিংহভাগই সেরে ফেলা যায় হাতের মোবাইল ফোনটির সাহায্যে। বিশেষ করে অতিমারীর শুরু থেকেই এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। সেদিকে লক্ষ রেখেই অ্যান্ড্রয়েড (Android) ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলতে মরিয়া হ্যাকাররা। এবার একটি নতুন অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যারের বিষয়ে ব্যাংকের গ্রাহকদের সতর্ক করল কেন্দ্রের অধীনস্থ সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ বা সিইআরটি-ইন। দ্রিনিক নামের এই ম্যালওয়্যারটি দেশের ২৭টিরও বেশি ব্যাঙ্কের তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা। যার মধ্যে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলিও।
এই দ্রিনিক ম্যালওয়্যারটি মোটেও নতুন নয়। বছর পাঁচেক আগে পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য চুরির ফাঁদ পাতা হত এর সাহায্যে। এবার নেট ব্যাংকিংয়ের রমরমার যুগে দ্রিনিকের সাহায্যে নয়া ফাঁদ পাতা হচ্ছে।
কীভাবে কাজ করে এই ম্যালওয়্যার? আপনি একটি এসএমএস পাবেন, যেখানে একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেওয়া আছে। ক্লিক করলে অনেকটাই আয়কর দপ্তরের ওয়েবসাইটের মতো একটি ওয়েবসাইট খুলে যাবে। সেখানে আপনার নাম, প্যান, আধার, মোবাইল নম্বরের সঙ্গে ঠিকানাও চাওয়া হবে। ভ্যারিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি অ্যাপও ডাউনলোড করতে বলা হবে। সেই সময়ই এসএমএস, কল লগ ও ফোনের কনট্যাক্টস ব্যবহার করার অনুমতিও নিয়ে নেওয়া হয়।
যদি আপনি আগে ব্যক্তিগত তথ্য না দিয়ে থাকেন, তাহলে এবার ওই অ্যাপেই তা দিতে হলা হবে। সেই সঙ্গে আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট কার্ড নম্বর, কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ, আইএফএস কোড, সিভিভি, পিন ইত্যাদিও চাওয়া হয়। একবার সেগুলি দিয়ে ফেললেই আর দেখতে হবে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট। শুধু আয়কর দপ্তর নয়, বিভিন্ন ব্যাংকের নাম করেও মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।
সিইআরটি-ইন জানিয়েছে, এই ধরনের ফাঁদের হাত থেকে বাঁচতে যে কোনও অ্যাপ ডাউনলোডের বিষয়েই সাবধান থাকা উচিত। কোথা থেকে ডাউনলোড করা হচ্ছে এবং কোন সংস্থার মেসেজের লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হচ্ছে তাও খেয়াল রাখতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.