সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর এপ্রিল থেকে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের উপর নজরদারির চেষ্টা চালাচ্ছিল ইজরায়েল। মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। গোটা ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। কিন্তু কেন্দ্র তাদের ঘাড় থেকে সমস্ত দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলছে। তাদের দাবি, ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপ থেকে কোনও পেগাসার স্পাইওয়্যার কেনা হয়নি।
চলতি বছর ২০টি দেশের প্রায় ১৪০০ ইউজারের অ্যাকাউন্টে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ঢোকানোর চেষ্টা করেছিল ইজরায়েলের সংস্থা এনএসও। তাদের মূল টার্গেট ছিল ভারতীয় সাংবাদিক, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী, মানবাধিকার সংগঠনের আধিকারিক এবং কূটনীতিবিদরা। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি ভারত সরকারের সহযোগিতাতেই এই স্পাইওয়্যার ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়েছিল? গত ২৩ অক্টোবর সমাজকর্মী সৌরভ দাস একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। ইজরায়েলের কোম্পানির থেকে কেন্দ্রই এই ম্যালওয়্যার আনিয়েছিল কিনা, জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকার এমন কিছুই করেনি। উলটে কীভাবে ও কেন ইউজারদের এমন সমস্যায় পড়তে হল, হোয়াটসঅ্যাপের থেকে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ।
শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, গত মে মাসে এই বিষয়ে ভারত সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। সংস্থার মুখপাত্রের কথায়, “আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের প্রাইভেসি রক্ষা করা। মে মাসে এই বিষয়টি সমাধানে আমরা দ্রুত কাজ করি। সেই সঙ্গে ভারত-সহ একাধিক দেশের সরকারকে গোটা বিষয়টা জানাই। তখন থেকেই আমরা আক্রান্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করে চলেছি। আলাদতের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে এর জন্য এনএসওকেই যেন দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ভারত সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েই ইউজারদের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে সচেষ্ট হয়েছিলাম আমরা।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও বলা হয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর সরকার। আইন মেনেই গোটা বিষয়টি সামলাচ্ছে কেন্দ্র। যাতে কোনও নাগরিকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় হস্তক্ষেপ করা না যায়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.