সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিস, স্কুল কিংবা কলেজ। চোখের সামনে হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে শিংওয়ালা বিচিত্র সব মানুষ। গড়িয়াহাট আর হাতিবাগানের মোড়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে শিং সাজানোর উপকরণ। কিংবা পার্কের বেঞ্চে বান্ধবীর শিং ধরে টেনে খুনসুটি করছেন বিশেষ বন্ধুটি। আজ না হলেও দশ বছর পর এমন দৃশ্য আকছার চোখে পড়তে পারে চারপাশে। হ্যাঁ, গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। জানা গিয়েছে, এক নতুন অভিযোজনে সত্যিই নাকি শিং গজাচ্ছে মানুষের। বদলে যাচ্ছে করোটির আকার আকৃতি। আর এই সব কিছুর জন্যই গবেষকরা দায়ী করছেন স্মার্ট ফোনকে।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় এ ব্যাপারে লিখেছেন দুই বায়োমেকানিকস বিজ্ঞানী। অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ডের সানসাইন কোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষকের প্রতিবেদন নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ‘আধুনিক জীবন যেভাবে মানুষের করোটিতে বদল ঘটাচ্ছে’ শিরোনামে। তাতে তাঁরা জানিয়েছেন, মানুষের আধুনিক জীবন প্রায় পুরোটাই স্মার্ট ফোন কেন্দ্রিক বা হাতে ধরে কাজ করা যায়, এমন যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। তাতে এই শিং গজানোর প্রবণতা আরও বাড়ছে। অবশ্য শিংওয়ালা মানুষ বলতে ন’য়ের দশকের যে টিভি বিজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ে, মোটেই তেমন দেখতে লাগবে না আমাদের। কারণ, এই শিং গজানোর সম্ভাবনা একটিই। আর শিংটি গজাবেও মাথার পিছন দিকে আমাদের ঘাড় আর মাথার ঠিক মাঝখানে।
কারণ, স্মার্টফোন হোক বা ট্যাবলেট কিংবা নোটপ্যাড, সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় ঘাড় নিচু হয়ে থাকে আমাদের। সেই ভার বইতে হয় ঘাড় আর মাথার মাংসপেশীকে। আর ঠিক এই সমস্যা থেকেই অভিযোজনে মাথার ভার রাখতে একটি বিকল্প হাড় গজাচ্ছে ঘাড়ের ঠিক উপরে। চিকিৎসার পরিভাষায় আপাতত এই ধরনের হাড় গজানোকে ‘টেক্সট নেক’ বলা হচ্ছে। শিংয়ের মতো যে হাড়টির জন্য ওই সমস্যা তৈরি হবে, তার দৈর্ঘ্য খুব বেশি হলে হবে ১০ মিলিমিটার। স্মার্টফোনের প্রভাবে এটি দ্বিতীয় হাড়ের অসুখ। এর আগে ‘টেক্সট থাম্ব’-এর শিকার হয়েছেন বা এখনও হচ্ছেন অনেক রোগীই। ভেবে দেখুন তবে কেমন দেখতে লাগবে সেই শিংওয়ালা মানুষদের!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.