সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা যেমন রয়েছে, বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সবসময় সম্ভাবনা থেকে যায় ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়ার। তাই বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীর ব্যাক্তিগত কথপোকথনে নজরদারির চেষ্টা করেছে কেন্দ্র সরকার। এবার এমন এক প্রস্তাব দিয়েছে সরকার, যাতে খুব সহজেই জানা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে কে কোন মেসেজটি পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রের দাবি, নিরাপত্তার খাতিরেই হোয়াটসঅ্যাপে ‘ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের ফলে অতি সহজেই যে কোনও মেসেজের উৎস জানতে পারবে সরকার। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই ফিচার চালু হলে আর নিজেদের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন শিথিল করতে হবে না হোয়াটসঅ্যাপকে। ফলে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হাত পড়বে না এমনটাই কেন্দ্রের ব্যখ্যা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের এই ফিঙ্গারপ্রিন্টের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, কোনওভাবেই প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাঁদের দাবি, নয়া নির্দেশিকা কার্যকর করতে গেলে পালটে ফেলতে হতে পারে গোটা হোয়াটসঅ্যাপের ডিজাইন।
প্রসঙ্গত, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি এড়াতে গত কয়েক বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠানের ওপরে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তরফে। বিশেষত হোয়াটসঅ্যাপ-এর অন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচারটি শিথিল করতে চেয়েছে কেন্দ্র। কারণ, তবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ব্যক্তির কথপকথনে নজরদারি চালাতে পারবে। কিন্তু বরাবরই ব্যক্তি স্বাধীনতার স্বার্থে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলি কেন্দ্রের এই দাবি খারিজ করে এসেছে। এমনকী তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত একটি মামলাও করেছেন। সেই কারণেই ফের নিজেদের দাবি কার্যকর করতেই কেন্দ্রের তরফে এই নতুন প্রস্তাব দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.