প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের মতো ভাবনাচিন্তাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর বড়জোর পাঁচ-দশ বছর দূরে। কিন্তু এখনও তাকে গ্রহণ করতে মোটেই প্রস্তুত নয় সমাজ। এমনটাই জানালেন গুগলের ডিপমাইন্ড সিইও ডেমিস হাসাবিস।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণেই নাকি বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানব সভ্যতার! এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়ে গিয়েছেন স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানী। ২০২৪ সালে রসায়নে নোবেলজয়ী ডেমিসও সাবধানে পা ফেলার কথাই বলছেন। তাঁর কথায়, ”আমরা যেহেতু এজিআই (আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স)-এর দিকে এগোচ্ছি তাই আন্তর্জাতিক মান ও সহযোগিতার প্রশ্নটা কেবল দুই দেশের মধ্যে নয়, বলা যায় সংস্থা ও গবেষকদের মধ্যেও। আমার মতে এটা হতে আর পাঁচ থেকে দশ বছর লাগবে। কেউ কেউ বলছে আরও কম সময়েই সেটা হবে। হলেও আমি অবাক হব না। অর্থাৎ এটা যে আসছে তা নিশ্চিত। এবং দ্রুতই আসছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত নই সমাজ এখনই প্রস্তুত কিনা। আমি মনে করি সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের আরও ভাবনাচিন্তা করা দরকার, যাতে সব কিছু ভালোয় ভালোয় হতে পারে।” পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে রাষ্ট্রসংঘের মতো কোনও সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এজিআই হল এআই-এর থেকেও কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকা এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সাধারণ ভাবে যে কোনও এআই চ্যাটবট একধরনের কাজেই পারদর্শী। কিন্তু এজিআই মানুষের মতোই নানা কাজে একই রকম পটু। এর বিশাল সম্ভাবনার কথা বলেও তাঁর আশা, গুরুতর ক্ষতির সম্ভাব্য ঝুঁকিকে দমন করা সম্ভব হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের সব কাজ একে একে কেড়ে নেবে? এই প্রশ্ন হালফিলের নয়। এআই গবেষণায় উন্নতির সূচনালগ্ন থেকেই এমন আশঙ্কা অনেকেই কেড়েছেন। ‘সিঁদুরে মেঘ’ এবার বুঝি আরও দূরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ‘ওপেনএআই’-এর এক আধিকারিক সম্প্রতি দাবি করেছেন, ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই ‘মানুষ’ কোডারদের প্রতিযোগিতায় পিছনে ফেলে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এবার নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সতর্ক করলেন অতিরিক্ত শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.