ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! ইনস্টাগ্রামের বয়েজ লকাররুম গ্রুপে গণধর্ষণের প্রস্তাব দিয়ে সমালোচিত হয়েছিল দিল্লির কিছু স্কুলছাত্র।
কিন্তু পুলিশ তদন্তে নামতেই উঠে এল এক অন্য তথ্য। সেই অভিযুক্ত ছাত্রদের মধ্যে এক ছাত্রীও রয়েছে। যে ছেলের নাম ব্যবহার করে ফেক বা ভুয়ো প্রোফাইল খুলে এই কথোপকথনে অংশ নিয়েছিল। এমনকী, ওই প্রোফাইল থেকে নিজেকে গণধর্ষণের প্রস্তাবও দিয়েছিল।
আর সেই প্রস্তাব ঘিরেই গোটা আলোচনার সূত্রপাত হয়। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
দিন কয়েক আগে ইনস্টাগ্রামের একটি গ্রুপের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, বয়েজ লকাররুম নামে ওই গ্রুপে স্কুল বা কলেজ ছাত্রী, এমনকী শিক্ষিকাদের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করা হত। আর তা নিয়ে চলত বিভিন্ন অশালীন আলোচনা। এমনকী,
যৌন চাহিদা চরিতার্থ করতে ধর্ষণ, গণধর্ষণের প্রস্তাবও দেওয়া হত। একইসঙ্গে নানা ধরণে যৌন ফ্যান্টাসি নিয়ে আলোচনা চলত। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দিল্লির নামজাদা স্কুলের একাধিক ছাত্র ও ওই গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। সেই তদন্তে নেমেই তো পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। সরষের মধ্যেই লুকিয়ে ভূত।
গোটা ঘটনার তদন্তকারী অফিসার দিল্লি পুলিশের কর্মী অন্বেশ রায় জানান, ওই মেয়েটি স্ন্যাপচ্যাটে সিদ্ধার্থ নামে একটি ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে। সিদ্ধার্থ নামের প্রোফাইল থেকে তাঁরই এক বন্ধুকে মেয়েটিকে (নিজেকে) যৌন হেনস্থার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি নাকি ছেলেটির চরিত্র পরীক্ষা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছেলেটি তাঁর সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এমনকী, সিদ্ধার্থের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দেয় সে। উলটে গোটা কথোপকথনটি ছেলেটি তার অন্যান্য বন্ধু ও সেই মেয়েটির সঙ্গে শেয়ার করে। পুলিশ আধিকারিকের দাবি, বয়েজ লকার রুমের স্ক্রিনশট সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই স্ন্যাপচ্যাটের স্ক্রিনশটটি ওতে মিশে যায়। মেয়েটি জেনে বুঝেও চুপ করে থাকে। ওই পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ছেলে হোক বা মেয়ে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি অন্যায়। যদিও মেয়েটির বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.