সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য আদৌ কি গোপন রাখছে ফেসবুকে? বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্টের বিরুদ্ধে ২০১৮-তে বারবার এই প্রশ্ন উঠেছে৷ টেক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ২০১৯-এও নাকি এই প্রশ্নে জেরবার হতে হবে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থাকে৷ যা আবারও নতুন করে বিপদের মুখে ফেলতে পারে তাঁদের৷ কারণ সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিজস্ব উপভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ছাড়াও, যাঁরা উপভোক্তা নন, তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্যও নাকি হাতিয়ে নিতে পারে ফেসবুক৷ কেবল অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকলেই নাকি যেকোনও ব্যক্তির গোপন তথ্যের হদিশ পেতে পারে সংস্থা৷ সেক্ষেত্রে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও হবে৷
[১০ জানুয়ারি বাজারে আসছে রেডমির ওয়াটারপ্রুফ হ্যান্ডসেট ]
গত ৩০ ডিসেম্বর এমনই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ সংস্থা প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল ‘হাউ অ্যাপস অন অ্যান্ড্রয়েড শেয়ার ডেটা উইথ ফেসবুক’ নামক প্রতিবেদনে। যেখানে বলা হয়েছে, গুগলের পর ফেসবুকই হল বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট, যারা গোপনে যেকোনও ব্যক্তিগত তথ্য হস্তগত করতে পারে৷ সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘আমার পরীক্ষা করে দেখেছি, স্মার্টফোন উপভোক্তাদের ব্যবহার করা ৬০ শতাংশ অ্যাপই সরাসরি ফেসবুকে তথ্য পৌঁছে দেয়৷ এমনকী, ওই অ্যাপ ব্যবহারকারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও, সেই তথ্য পৌঁছে যায় ফেসবুকের কাছে৷’’ জানা গিয়েছে, এই রিপোর্ট প্রকাশের আগে ৩৪টি প্রসিদ্ধ অ্যাপের পরীক্ষা করেছে ব্রিটিশ সংস্থাটি৷ তাঁরা দেখেছে, ‘ফেসবুক সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কিটের’ সাহায্যে ৩৪টির মধ্যে ২১টি অ্যাপ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সরাসরি তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে জুকারবার্গের সংস্থাকে৷
[চলতি বছরেই হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হতে পারে এই ফিচারগুলি]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তথ্য পাচার আটকানোর কোনও পথ নেই। আপনি ফেসবুকে লগইন করুন বা না করুন, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাক বা না থাক, তথ্য পাচার হবেই। শুধু অ্যান্ড্রয়েড নয়, আইওএস প্ল্যাটফর্মের কিছু অ্যাপও নাকি একই ভাবে তথ্য পাচার করে ফেসবুককে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.