ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুকের মাধ্যমেই ফুলে ফেঁপে উঠছে দেহব্যবসা। এক মার্কিন সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। দ্য হিউম্যান ট্রাফিকিং ইনস্টিটিউট (The Human Trafficking Institute) নামের ওই সংস্থার দাবি ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, উইচ্যাট, ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মাধ্যমেই ফাঁদ পেতে অনেককে দেহব্যবসায় নামানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, এমন ঘটনার মধ্যে প্রায় ৫৯ শতাংশই জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে হয়েছে।
কীভাবে মানুষদের ফাঁসানো হয়? সংস্থার মতে, বেশিরভাগ নাবালক-নাবালিকাদেরই টার্গেট করা হয়। তাঁদের লোভনীয় কাজের অফার দেওয়া হয়। যাতে কম কাজে বেশি আয় করা যায়। আর এভাবেই দেহব্যবসার চোরাবালির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। অনেককে আবার প্রেমের টোপ দিয়েও ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ। সংস্থার সিইও ভিক্টর বুওত্রোসের জানান, মানব পাচারকারীরা খুবই সহজ জনপ্রিয় একটি মাধ্যমের খোঁজে থাকেন। যাতে তা ব্যবহার করে অনায়াসে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। আর সেক্ষেত্রে ফেসবুক তাঁদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার। আর এক্ষেত্রে মহিলারাই বেশি ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন বলে দাবি মার্কিন সংস্থার।
যদিও এই তথ্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ফেসবুকের মুখপাত্র জিন মোরান (Jeanne Moran)। বিবৃতি জারি করে তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুকে দেহব্যবসা, শিশুনিগ্রহের মতো জঘন্য ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করা হয় না। জনসংযোগের অন্যতম জনপ্রিয় এই মাধ্যমের সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। কোনও খারাপ কিছু দেখলেই তা রিমুভ করে দেওয়া হয়। ক্ষতিকারক ছবি পর্যন্ত দেখানো হয় না। ফেসবুক একাধিক অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত। তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এমনকী ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক অপরাধ রোখা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান জিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.