সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে ভোট হবে সাত দফায়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, রবিবার থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। কোথাও যদি এই আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয় তবে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে।
[তিন রাজ্যে কেন সাত দফায় ভোট? ব্যাখ্যা দিল নির্বাচন কমিশন]
কিভাবে? এবার একটি অ্যাপ লঞ্চ হয়েছে। মোবাইলে প্লে স্টোর থেকে ‘cVIGIL’ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন যে কেউ। ওই অ্যাপে ছবি তো বটেই দু’মিনিটের ভিডিও পাঠিয়ে দিতে পারেন। যদি কেউ ‘মডেল কোড অফ কনডাক্ট’ অমান্য করেন, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। এছাড়াও কমিশনের ১৯৫০ হেল্প লাইন নম্বর রয়েছে। সেখানেও ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত সচিত্র ভোটার স্লিপকে পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এদিন কমিশন জানিয়েছে, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র ছাড়া প্যান কার্ড, লাইসেন্স, আধার কার্ড পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য হবে। এবারই প্রথম ভিভিপ্যাটে পছন্দের প্রার্থীর চিহ্ন দেখতে পাবেন ভোটদাতা। যে চিহ্নের পাশে বোতাম টিপবেন ভিভিপ্যাটে সাত সেকেন্ড সেই প্রার্থীর চিহ্ন দেখতে পাবেন ভোটদাতা। নিশ্চিত হতে পারবেন নিজের ভোট নিয়ে। রাজ্যের ভোট ইতিহাসে এর আগে খাতায় কলমে কখনও সাত দফায় ভোট হয়নি। শেষ ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৬ দফায় ভোট দেখেছে রাজ্যবাসী। এই সিদ্ধান্তে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে কোন যুক্তিতে রাজ্যে টানা সাত দফায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।
নির্বাচন কমিশন অবশ্য জানাচ্ছে, রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচন করার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বাহিনী অনেকটাই কম পাচ্ছে কমিশন। একটা বিরাট সংখ্যক বাহিনী সর্বক্ষণের জন্য মজুত রাখতে হচ্ছে সীমান্তে। সে কারণে এবার বাহিনীকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা হবে। সেভাবেই ভোটের দফা ও কেন্দ্র সংখ্যা মিলিয়ে নির্ঘণ্ট স্থির করা হয়েছে। এবার মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে একদিনে ভোট হবে। সেটা করতে গেলে দেখা যাবে ১০টি মাও অধ্যুষিত রাজ্যেই একসঙ্গে ভোট করতে হচ্ছে। বাহিনীর সংখ্যার কথা মাথায় রেখেই তাই নির্ঘণ্ট সাজানো হয়েছে। শুধু ভোটের দিনেই বাহিনীর প্রয়োজন এমনটা নয়, ভোটের অনেক আগে থেকেই রাজ্যে রাজ্যে বাহিনী চলে যাবে। সব কেন্দ্রেই বাহিনী পাঠানো হবে। নির্ঘণ্ট স্থির করার আগে সেদিকটাও নজরে রাখা হয়েছে। রাজ্য সফরে এসে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলাজনিত একাধিক অভিযোগ নথিভুক্ত করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিক বিচ্ছিন্ন ঘটনার ছবি/ভিডিও দেখিয়ে ৮ দফায় নির্বাচন দাবি করেছিল বিরোধী দলগুলি। কমিশন জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের ভোটচিত্র অন্য রাজ্যের তুলনায় ভিন্ন। এ রাজ্যে মানুষ ভোট সম্পর্কে অনেকটাই সচেতন। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গে আগেও একাধিক দফায় ভোট হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে খাতায় কলমে ছ’দফায় ভোট হলেও সেবার একটি দফাকে ফেজ ওয়ান আর ফেজ টু-তে ভেঙে দিয়েছিল কমিশন। ভোট হয়েছিল সাত দফাতেই।
[অবাধ, স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কমিশনের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.