সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা দেশের বিশিষ্ট নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওরকম বিতর্কিত পোস্ট করেছেন কি? যদি করে থাকেন, তবে কিন্তু সমূহ বিপদ। এমন অভিযোগে গ্রেপ্তারির মুখে তো পড়তেই পারেন, সেই সঙ্গে জামিন পেতে হলেও মানতে হবে কঠোর শর্ত!
মোদি-যোগী আদিত্যনাথ-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নেটদুনিয়ায় বিরূপ মন্তব্য করে কিংবা কার্টুন বানিয়ে এর আগে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারকে। শাস্তিও ভোগ করতে হয়েছে। ঠিক এই কারণেই বর্তমানে বেশি করে সতর্ক করা হচ্ছে নেটিজেনদের। এমন কোনও কাণ্ড ঘটিয়ে শ্রীঘরে গেলে জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তের মুখে পড়তে পারেন আপনিও। কী শর্ত? নির্দেশ দেওয়া হতে পারে, এক বছরের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা যাবে না।
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর এক বাসিন্দা মোদির জবিন চার্লস মোদির বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫০৫ (ii) এবং ৬৭ বি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সেই মামলায় মাদ্রাস হাই কোর্ট জানায়, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে শর্তসাপেক্ষে অভিযুক্তর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী একবছর যেন সমস্ত সোশ্যাল সাইট থেকে দূরে থাকেন ওই ব্যক্তি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে তৎক্ষণাৎ তাঁর জামিন খারিজ করে দেওয়া হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে ভুয়ো খবর বা বিতর্কমূলক পোস্ট ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়াটা এখন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা অনেক সময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে প্রভাব ফেলে। পরিবেশ-পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই কারণেই এ বিষয়ে কড়া হয়েছে ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলি। এধরনের পোস্ট যাতে না করা হয়, সেদিকে সর্বদা নজরদারি চালানো হচ্ছে। কেউ এমন ঘটনা ঘটালে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করা হচ্ছে। সম্প্রতি অযোধ্যা মামলার রায়ের পরও কোনওরকম আপত্তিকর পোস্ট না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে নেটিজেনদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.