অর্ণব আইচ: QR কোড (QR Code) স্ক্যান করেই শনাক্ত করতে হবে পরিবেশবান্ধব ‘সবুজ বাজি’। জাল মোড়কের আড়ালে যাতে ভুয়ো ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ বিক্রি না হয়, তার জন্য দোকানে দোকানে হানাও দেবে পুলিশ। ভুয়ো বাজি ধরতে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।
লালবাজারের (Lalbazar) এক কর্তা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ বিক্রি করার অনুমতি দেওয়ার পরই স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করতে হচ্ছে পুলিশকে। হাই কোর্টের নির্দেশের পর কলকাতার প্রত্যেকটি থানার পক্ষ থেকে কোনওরকম বাজি বিক্রি ও না ফাটানোর জন্য মাইক নিয়ে প্রচার করা শুরু হয়েছিল। এবারও মাইক নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালাবেন থানার আধিকারিকরা। সেখানে বলা হবে, কেউ যেন বেআইনি শব্দবাজি না ফাটান। যাঁরা বাজি পোড়াবেন, তাঁরা যেন পরিবেশবান্ধব ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ ছাড়া অন্য কোনও ধরনের বাজি না ফাটান। যে বাজি ফাটানো হবে, তাতে যেন লিথিয়াম, বেরিয়াম, সীসা বা আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক না থাকে।
প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হওয়া বাজির উপর নজরও দেবে পুলিশ। পুলিশের কাছে খবর, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ভারতের শিবকাশী বা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুঙ্গি থেকে কলকাতার বিভিন্ন গোডাউনে পৌঁছে গিয়েছে বাজি। এর মধ্যে পুলিশ বিভিন্ন গোডাউন ও চলন্ত গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ধরতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ বাজি। গত ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শহরে প্রায় ২৮২৫ কিলো নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার হয়েছে। সোমবার দক্ষিণ কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারির আনন্দপল্লি, দক্ষিণ বন্দর ও অন্যান্য এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪০০ কিলো বাজি উদ্ধার হয়েছে। এই ক’দিনে মোট গ্রেপ্তারির সংখ্যা ১৪।
পুলিশের মতে, আরও নিষিদ্ধ বাজি কলকাতার বিভিন্ন গোডাউনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কিছু কারবারী এই সুযোগ নিতে পারে। নিষিদ্ধ আতসবাজি ভুয়ো মোড়কে ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ বলেই বিক্রি করতে পারে তারা। ওই বাজি ফাটালে বিষাক্ত ধোঁয়া বাতাসে মিশবে। সমস্যায় পড়বেন করোনা আক্রান্ত ও অসুস্থ রোগীরাও। এই ধরনের জালিয়াতি রুখতেই এবার পুলিশের টিম দোকানে দোকানে হানা দিচ্ছে। প্রথমত পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন, ওই বাজির প্যাকেটের মোড়কে ‘সিএসআইআর’ ও ‘এনইইআরআই’-এর লোগো রয়েছে কি না। ওই লোগোর সঙ্গে থাকছে একটি কিউ আর কোড। ভুয়ো লোগো বা কিউ আর কোড ছাপিয়ে নিয়ে কিছু কারবারী নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করতে পারে। তা আসল কি না ধরতে পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশকর্মীদের বলা হয়েছে, ‘নিরি মোবাইল অ্যাপ’ ডাউনলোড করতে। ওই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই কিউ আর কোড স্ক্যান করা সহজ হবে। ওই মোড়ক বা প্যাকেটের আড়ালে ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ রয়েছে কি না, তাতেই ধরা পড়বে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.