ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইন প্রতারকদের দৌরাত্ম্য ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে আমজনতাকে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও বহু মানুষ পা দিয়ে ফেলেন প্রতারকদের ফাঁদে। খোয়ান অর্থ। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার দিল্লিতে। ব্যাপারটা ঠিক কী?
জানা গিয়েছে, প্রতারিতের নাম রমেশ কুমার রাজা। পেশায় ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক। তাঁর দাবি, সম্প্রতি অনলাইন প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ৪০ হাজার টাকা খুইয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর অভিযোগ আরও গুরুতর। ওই সাংবাদিক দাবি করেছেন তাঁকে মোহাবিষ্ট (হিপনোটাইজ) করে নাকি টাকা নিয়েছে প্রতারক। বিষয়টা ঠিক কী রকম? রমেশ রাজা জানান, সম্প্রতি অজ্ঞাত পরিচয় একজন ফোন করেন তাঁকে। মুহূর্তেই কথার মাধ্যমে যুবককে মোহাবিষ্ট (হিপনোটাইজ) করে ফেলে ফোনের ওপ্রান্তে থাকা প্রতারক। নিজেকে অভিযোগকারীর পরিচিত বলে দাবি করেন। ক্রমাগত কথা বলতে থাকে।
সাংবাদিকের দাবি, একটা সময়ে প্রাতরকের কন্ঠস্বর নিজের এক চিকিৎসক বন্ধুর মতো মনে হয় তাঁর। প্রশ্ন করায় ফোনের ওপ্রান্তের ওই যুবক নিজেকে সেই চিকিৎসক বলেই দাবি করে। বলেন, তিনি কিছু টাকা রমেশকে পাঠাবেন, যেটা সন্ধেয় ফেরত নেবেন। স্বাভাবিকভাবেই তাতে রাজি হয়ে যান রমেশ। প্রথমে প্রতারক তাঁকে ২ টাকা পাঠায়। বলে, পেটিএমে একটি মেসেজ গিয়েছে তা চেক করতে। সেটি দেখতে রমেশের পিন নম্বর দিতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। ফোনে বিষয়টা জানাতেই প্রতারক দুঃখপ্রকাশ করে আরও একটি লিংক পাঠায়। সেটি ক্লিক করতেই আরও ২০ হাজার টাকা ভ্যানিশ হয়ে যায় রমেশের অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপরই প্রতারক ফোন কেটে দেয়।
এতেই রমেশ বিষয়টা বুঝতে পারেন। গত ২৫ এপ্রিল পুলিশে অভিযোগ জানান প্রতারিত যুবক। সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, এভাবে কথা বলে বন্ধু সেজে প্রতারণা নতুন। পাশাপাশি প্রত্যেককে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.